তীব্র তাপদাহের মধ্যেই বন্যার আশঙ্কায় হাওড়াঞ্চলসহ সিলেটবাসী। মাঠে বোরো ফসল থাকায় উদ্বিগ্ন কৃষক। মে মাসের প্রথম সপ্তাহে সিলেটে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে এমন খবর ছড়িয়ে পড়ার পর এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশের তথ্যে বন্যার আশঙ্কার কথা উঠে এসেছে। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে তিনি আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য দিয়েছিলেন এবং প্রায় সময়ই এর সত্যতাও পাওয়া গিয়েছিল।
মোস্তফা কামাল পলাশের তথ্য মতে, পশ্চিমা লঘু চাপের প্রভাবে মে মাসের ৩ তারিখ থেকে ৮ তারিখ পর্যন্ত সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ ও সিলেট জেলার ভারতীয় সীমান্তবর্তী জেলাগুলো, মেঘালয় রাজ্যের চেরাপুঞ্জি ও আসাম রাজ্যের করিমগঞ্জ জেলায় ৩০০ থেকে ৪০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।
ফলে মে মাসের ৫ তারিখের পর থেকে পাহাড়ি ঢলে সিলেট বিভাগ ও কিশোরগঞ্জের জেলার হাওড় এলাকা বন্যার পানিতে প্লাবিত হওয়ার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে।
তিনি বলেন, একই সময়ে চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোর ওপর দিয়ে ১০০-১৫০ মিলিমিটার এবং বরিশাল, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের জেলাগুলোর ওপরে ৫০-১০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হতে পারে।
পলাশ বলেন, ৩-৮ মে পর্যন্ত খুলনা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের জেলাগুলোতে সবচেয়ে কম পরিমাণ বৃষ্টি হবে। একটি শক্তিশালী পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাবে ওই সময় পর্যন্ত বাংলাদেশের বেশিরভাগ জেলার ওপর দিয়ে শক্তিশালী কালবৈশাখী, তীব্র বজ্রপাত ও শিলাবৃষ্টিও হতে পারে। বর্তমানে লঘুচাপটি ইরানের ওপর অবস্থান করছে। আগামী ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত তাপপ্রবাহ বিরাজ করবে। ২৯ তারিখের পর থেকে তাপমাত্রা কমে ৩ মে পশ্চিমা লঘুচাপটি বাংলাদেশ প্রবেশ করবে ভারত হয়ে।
তিনি বলেন, আগামী ২৯ এপ্রিল খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছাতে পারে। আগামী রবি, সোম ও মঙ্গলবার ঢাকা শহরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে দেশের আবহাওয়াবিদরা বলছেন, আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত চলমান এ তাপপ্রবাহ বিরাজ করবে। তারপর দুই দিনে এ তাপপ্রবাহ কমে গিয়ে ৩ মে থেকে দেশে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পর এখন কানাডায়।
মোবাইল: +৮৮০১৭১৭৯৬০০৯৭
ইমেইল: news@dailycomillanews.com
www.dailycomillanews.com