কুমিল্লার তিতাসে ছাত্রলীগ নেতার বাড়িতে হামলা-লুটপাট
তিতাস প্রতিনিধিঃ কুমিল্লার তিতাসে ছাত্রলীগ নেতার বাড়িতে একদল দুর্বৃত্ত হামলা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাদীর বক্তব্যে এ তথ্য জানা গেছে।
মামলা সুত্রে জানা যায়, ৩ জানুয়ারি ২০১৮ সকাল ৮.০০ ঘটিকার সময় ছাত্রলীগ নেতা (ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ সভাপতি) মো. আলীর বাবা মো. ধনু মিয়া (৫০) পিতা মৃত গণি মিয়া ও তার ভাই মো. মানিক মিয়া (২৫) চরকুমারিয়া বাজার হতে বাজার হতে আসার পথে বারকাউনিয়া গ্রামস্থ পূর্বপাড়া মসজিদ সংলগ্ন তোফাজ্জলের দোকানে সামনে রাস্তায় পৌছার পর ১. খেলু মিয়া (৪৮) পিতামৃত কানু মিয়া, ২.বাবুল মিয়া (২৮) পিতা মো. আবুল কালাম, ৩. মো. সাইদুল (২৩) পিতা মো. জালু মিয়া, ৪. মো. জালু মিয়া (৫০) পিতামৃত কানু মিয়া, ৫. মো. ফারুক (২৬) ৬. মো. সোহেল (২৩) ৭. মো. আরাফাত (২০) সর্ব পিতা মো. খেলু মিয়া, ৮. মো. ইমান আলী (২৪) পিতা মো. আবুল কালাম সর্ব সাং বারকাউনিয়া, তিতাস, ৯. মো. বাদল (৩২) পিতামৃত এনু মিয়া, ১০. ডলি আক্তার (৩০) স্বামী মো. বাদল উভয় সাং কাশিপুর , হোমনা। ১১. আঃ সাত্তার (৩২) পিতামৃত তমু মিয়া, সাং স্বরসতীরচর, ১২. রুমি আক্তার (২৬) স্বামী মো. মামুন সাং বারকাউনিয়া,তিতাস সর্ব জেলা কুমিল্লা তাদের উপর হামলে পড়ে এবং তারা লাঠিসোটা, লোহার রড ও দা নিয়ে দলবদ্ধ হয়ে তাদের গতি রোধ করে। এবং শ্বাস রোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। বাবুল মিয়া তাহার হাতে থাকা লোহার রড দিয়া হত্যার উদ্দেশ্যে ধনু মিয়ার মাথায় আঘাত করে গুরুতর জখম করে এবং তাহার পকেটে থাকা নগদ ৫,৫০০ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এবং মানিক মিয়ার সাথে থাকা ১০,৫০০ টাকা দামের স্যামসাং মোবাইলটিও কেড়ে নেয়। তাদের ডাক চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন এসে তাদেরকে রক্ষা করে। পরে আহত অবস্থায় ধনু মিয়াকে তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা প্রদান করা হয়।
অতপর তারা আত্ম রক্ষার্থে নিজ ঘরে আশ্রয় নিলে সেখানে গিয়েও তাদের হত্যা চেষ্টা করে এবং ব্যর্থ হয়ে তাদের ঘরের মালামাল লুট করে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।
এই ঘটনায় ধনু মিয়ার স্ত্রী মোসা: বাছিরন বেগম (৪০) বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৩/৪ জনকে আসামী করে তিতাস থানায় মামলা করতে গেলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা না থাকায় মামলা এফআইআর করা হয়নি।
উল্লেখ্য তাদের মধ্যে জায়গা সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এর আগে মো. খেলু মিয়া বাদী হয়ে তিতাস থানা একটি হত্যা মামলা দায়ের করে ১০ জনকে আসামী করে। ২০১৭ সালের ১৯ জুন তিতাস থানার মামলা নং ৯। মামলার পর ধনু মিয়াসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। বিবাদীগণ তখন উল্লেখিত বাদী ও স্বাক্ষীদের হত্যার হুমকি প্রদান করলে তারা বসত ঘরে তালা লাগিয়ে অন্যত্র আত্মগোপন করে। তখন আসামীগণ পরস্পর যোগসাজশে ঘরের তালা ভেঙ্গে অনধিকার প্রবেশ করে প্রায় ৩ লক্ষ টাকার মালামাল ও আসবাবপত্র লুট করে নিয়ে যায়।