আমাকে ছাগলের মডেল হিসেবে দেখানো হয়েছে: ইফাত
বর্তমানে দেশজুড়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে এবারের কুরবানির ঈদে কেনা একটি ছাগল কেন্দ্র করে। রাজধানীর সাদিক অ্যাগ্রো থেকে ১৫ লাখ টাকার ছাগল কিনতে গিয়ে এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন এনবিআরের কর্মকর্তার ছেলে ইফাত। যদিও রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমান দাবি করেছেন, ইফাতের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্কই নেই।
আলোচিত ইফাত বলেছেন, ‘সাদিক অ্যাগ্রো থেকে ছাগল কেনেননি বরং তাকে মডেল হিসেবে দেখানো হয়েছে’। তার এ বক্তব্যের বিরোধিতা করেছেন সাদিক অ্যাগ্রোর কর্ণধার ইমরান হোসেন। গরু-ছাগল কেনা বাবদ তাকে দেওয়া ইফাতের বায়নার ১১ লাখ টাকা বাজেয়াপ্ত করবেন নাকি ফেরত দেবেন তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না তিনি। কারণ সমালোচনা শুরুর পর থেকে ইফাতের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না ইমরান।
মেসেঞ্জারে কথোপকথনের শেষ মুহূর্তের বিতর্কে গরু-খাসি ও বায়নার টাকা ফেরত নিতে আসবেন না বলেও সাদিক অ্যাগ্রোকে জানিয়েছেন ইফাত।
এবার কুরবানির ঈদে পশু কেনাবেচাকে অন্য এক উচ্চতায় নিয়ে গেছে ১৫ লাখ টাকা দাম হাঁকানো ব্রিটল জাতের একটি ছাগল, যা ১২ লাখ টাকায় বিক্রি করা হয় মুশফিকুর রহমান ইফাতের কাছে। এরপর তার বাবার পরিচয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য মতিউর রহমানের নাম প্রকাশ্যে এসে সমালোচনা শুরু হলেই ভোল পালটে ফেলেন ইফাত। তিনি দাবি করেন, তাকে ছাগলের মডেল বানিয়েছে সাদিক অ্যাগ্রো।
বৃহস্পতিবার ইফাতের বক্তব্যের পুরো দ্বিমত পোষণ করে খামারের কর্ণধার ইমরান হোসেন বলেন, ‘আমি মার্কেটিং পলিসির অংশ হিসেবে তার নাম ব্যবহার করেছি, এটা যৌক্তিক না। হাইপ ক্রিয়েট করে লস করার মতো ব্যবসায়ী আমি না।’
এরপর বাবার পরিচয় সামনে এসে বিতর্ক তুঙ্গে উঠলে ইফাত জানিয়ে দেন, গরু-ছাগল এমনকি বায়না করতে দেওয়া ১১ লাখ টাকা; কোনো কিছুই লাগবে না তার; উদ্ভূত পরিস্থিতি থেকে শুধু মুক্তি চান তিনি।
ইমরান হোসেন বলেন, ‘ইফাত আর পরবর্তীতে আসেননি। আমরাও আর ছাগলটি বিক্রি করতে পারিনি। আমরা ইফাতের সঙ্গে যোগাযোগও করতে পারছি না। সে কি টাকা ফেরত নেবে, নাকি আমরা বাজেয়াপ্ত করে ফেলব— কিছুই বুঝতে পারছি না।’