দেখা না দিলে বন্ধু কথা কইও না: সারজিস আলম

শহীদ নূর হোসেন দিবসকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিকে ঘিরে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে রাজধানী ঢাকায়। আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে এক হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ছাত্র-জনতা। অন্যদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কর্মসূচি সফল করতে নেতাকর্মীদের আহবান জানানোর পাশাপাশি হুশিয়ারি উচ্চারণ করতে দেখা যায় আওয়ামী লীগ এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতাদের।

এরই মধ্যে আগুনে ঘি ঢাললেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম। রোববার সকালে ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে এক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, ‘দেখা না দিলে বন্ধু কথা কইও না’। কাকে উদ্দ্যশ্যে করে এই কথা বললেন সারজিস? এ নিয়ে নেটিজেনদের আগ্রহের কমতি নেই।

কেউ কেউ মনে করছেন সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকার ঘোষিত নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের একই ধরনের কথাকেই ব্যঙ্গ করেছেন। গত বছরের ১৯ জুলাই ঢাবিতে এক সমাবেশ থেকে লন্ডনে থাকা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সাহস থাকলে বাংলাদেশে এসে রাজনীতি করার আহ্বান জানিয়ে বলেছিলেন, ‘পৃথিবীর ইতিহাসে কোনো গণতান্ত্রিক আন্দোলন কি সফল হয়েছে, যেই আন্দোলনের নেতা বিদেশে পালিয়ে গিয়ে বিলাসী জীবন যাপন করছেন আর কর্মীদের রাজপথে থাকার আহ্বান জানাচ্ছেন! আমরা বলি—দেখা না দিলে বন্ধু কথা কইয়ো না।’

একইভাবে ১০ নভেম্বর শহীদ নুর হোসেন দিবসকে কেন্দ্র করে কর্মসূচি ঘোষণা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হুশিয়ারি জানালেও আওয়ামী লীগ বা ছাত্রলীগের কেউ মাঠে থাকবে না বলে মনে করেন কেউ কেউ। তাই সারজিস আলম ‘দেখা না দিলে বন্ধু কথা কইয়ো না’ স্ট্যাটাস দিতে পারেন বলে মনে করেন নেটিজেনরা।

গতকাল শনিবার (৯ নভেম্বর) রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে এক পোস্টে বলা হয়, রোববার বেলা ১২টায় গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে ‘পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের বিচারের দাবিতে’ গণজমায়েত কর্মসূচি পালন করা হবে।

এর আগে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার’ দাবিতে রোববার বিকেল ৩টায় গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা দেয় আওয়ামী লীগ। দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে এক পোস্টের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।

আরো পড়ুন