ভারত সেভেন সিস্টারকে রক্ষা করার জন্য মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
রোববার (৪ জানুয়ারি) নগরীর পলোগ্রাউন্ড মাঠে চট্টগ্রাম মহানগর ইসলামী আন্দোলন আয়োজিত ‘ভারতের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আধিপত্য প্রতিরোধ, চট্টগ্রামের আঞ্চলিক সমস্যার সমাধান এবং বৈষম্যহীন কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সারজিস আলম বলেন, বিগত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগ ভারতকে বাংলাদেশের মনিবের কাতারে নিয়ে গেছে। ক্ষমতা রক্ষার্থে নিজেরাই স্বেচ্ছায় দাসত্ব বরণ করেছে। দেশের সার্বভৌমত্বের চেয়ে তাদের কাছে ক্ষমতাই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এর উদাহরণ শেখ হাসিনার একটি অডিও রেকর্ড, যেখানে তিনি বলেছেন, আমার বিরুদ্ধে যেহেতু ২২৭টি খুনের মামলা করা হয়েছে, সেহেতু ২২৭টি খুন করাই যায়।
তিনি আরও বলেন, ভারত একাত্তরে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে নিজেদের যুদ্ধ হিসেবে হাজির করানোর চেষ্টা করছে। ১৬ ডিসেম্বর ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি ও রাষ্ট্রপতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ হিসেবে উপস্থাপন করেছেন।
বর্তমান তরুণ প্রজন্ম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ প্রজন্ম দলান্ধ নয়, সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নেয়। কিন্তু ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়।
ভারতের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আধিপত্য প্রতিরোধের বিষয়ে তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি সিস্টেমে ভারতের প্রভাব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তরুণদের বোঝাতে হবে ১৯৭১ সালে ভারত কেন মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল। এটি বাংলাদেশের মানুষের জন্য নয়, বরং নিজের স্বার্থে সেভেন সিস্টারকে রক্ষা করার জন্য।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭২ সালে ভারতের সৈন্যরা বাংলাদেশে লুটপাট চালিয়েছে। ঘরে ঢুকে লুটপাট ও নারীদের সম্ভ্রমহানি করেছে। এগুলো জনগণের সামনে তুলে ধরা উচিত।
ভারতের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, খুনি শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়ে আপনারা বাংলাদেশের জনগণের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। তাকে বিচারের কাঠগড়ায় পাঠানোর ব্যবস্থা করুন।
চট্টগ্রামের আঞ্চলিক সমস্যা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর, পার্বত্য এলাকা ও পাহাড়িদের উস্কে দিয়ে অপতৎপরতার চেষ্টা চলছে। চট্টগ্রামকে নিরাপদ রাখতে পারলে বাংলাদেশকেও নিরাপদ রাখা সম্ভব।লাদেশকেও নিরাপদে রাখতে পারব।
মোবাইল: +৮৮০১৭১৭৯৬০০৯৭
ইমেইল: news@dailycomillanews.com
www.dailycomillanews.com