সালামি চেয়ে অনেকে হুমকিও দিচ্ছেন: শিবির সভাপতি

ঈদ আসলেই সালামি নিয়ে নানা রঙ্গ-রসিকতায় মেতে ওঠেন মানুষ। বড়-ছোটদের সালামি দেওয়া-নেওয়া নিয়ে চলে খুনসুটি। এমন দৃশ্য সাধারণ হলেও এবার খুনসুটিতে মেতেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম। রোববার (৩০ মার্চ) বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে ঈদ সালামি নিয়ে পোস্টে করেন তিনি।
পোস্টে শিবির সভাপতি লেখেন, ঈদ সালামি চেয়ে অনেকেই ইনবক্সে প্রচুর মেসেজ দিচ্ছেন। কিছু ভাইয়েরা অনুরোধ করছেন, আবার অনেকে হুমকিও দিচ্ছেন। সবার প্রতি সম্মান রেখে কিছু কথা।
ছাত্রদলের প্রশংসা করলেন শিবির সভাপতি
ছাত্রদলের প্রশংসা করলেন শিবির সভাপতি
বিস্তারিত পড়ুন
১. ঈদ সেলামি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মাঝে দ্বিমত রয়েছে। এটা কি মুস্তাহাব নাকি মাকরূহ। যাইহোক আমি ঈদ সেলামির পক্ষের শক্তি।
২. আপনারা জানেন ছাত্রশিবির একটি নিয়মতান্ত্রিক ও স্তরভিত্তিক সংগঠন। তাই যারা কেন্দ্রীয় সভাপতির নিকট ঈদ সেলামি চাচ্ছেন তারা স্থানীয় শাখার সাথে যোগাযোগ করতেই পারেন। করে সেলামি হিসেবে যা পাবেন, তা মূলত কেন্দ্রীয় সভাপতির পক্ষ থেকেই পাওয়া হিসেব গণ্য হবে।
৩. ঈদ সেলামি সবসময় কাগুজে নোটে হতে হবে এমন কোনো কথা নেই। মনে মনে রুহানি সেলামি নিতে পারেন। এতে দাতা ও গ্রহীতা উভয়ের জন্যই দুনিয়া ও আখেরাতে কল্যাণ।
৪. আমাদের আগের প্রজন্মের কাছে ঈদ সেলামি চাইলে অনেকেই শান্তনা দিয়ে কৌশলে পাশ কাটিয়ে দিতেন। আমরাও ছোট হিসেবে তাদের কথা মেনে নিতাম। আসলে বড়দের প্রতি ইহসান করতাম। এখনো সুযোগ পেলেই অনেকের প্রতি ইহসান করি।
তাই আসুন ইসলামী নৈতিকতার সর্বোচ্চ স্তর ইহসানের চর্চা বাড়াই। মনে রাখবেন বরকত আল্লাহর পক্ষ থেকেই আসে। দুনিয়ার কোনো সেলামি থেকে নয়। আল্লাহই আমাদের জন্য যথেষ্ট।
এরপর বিশেষ দ্রষ্টব্য উল্লেখ করে জাহিদুল ইসলাম লেখেন, যারা কেন্দ্রীয় সভাপতিকে ঈদ সেলামি দিতে চান, তারা স্থানীয় প্রতিনিধির মাধ্যমে সহজেই পাঠাতে পারেন। আল্লাহ সবাইকে সঠিক বুঝ দান করুন। আমীন।