কুমিল্লায় শিশুদের কাঁদে ভারি স্কুল ব্যাগের বোঝা
দিদারুল ইসলাম (তুহিন): প্রতিদিন সকাল বিকাল কাঁদে ব্যাগের বোঝা নিয়ে চলছে শিশুরা। প্রতিদিন সকালে ব্যাগ কাঁদে নিয়ে স্কুল যায় লাখ লাখ শিশু, নিজের ওজনের চেয়ে বেশি ওজনের ব্যাগ কতটুকু নিতে পারে শিশুরা। কখনো মা কখনো বাবা এই ব্যাগের বোঝা বয়ে নিয়ে চলেন। আবার কখনো শিশুদের নিজেরই এই ভারী ব্যাগ বহন করতে হয়। দশ থেকে ১২ টি বই খাতার ব্যাগের ওজন আসলেই কি শিশুরা বইতে পারে।
কুমিল্লা সদরে ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ১০২ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও প্রায় ৮০ টি কিন্টার গার্ডেন স্কুল রয়েছে। প্রতিটি স্কুলের শিশুদের চিত্র একই রকম। কুমিল্লার খ্যাতনামা একটি কিন্ডার গার্ডেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, আমার স্কুলের শিশু শাখায় প্রায় ১০০ শিশু রয়েছে। প্রতিটি শিশুরকেই তাদের বাবা মা স্কুলে দিয়ে যায় তাদের তেমন ব্যাগ বহন করতে হয় না। তবে শিশুদের ভারী ব্যাগ বহন না করাই ভাল।
কুমিল্লা হারুন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক বলেন, শিশুদের এই ভাবে ভারী ব্যাগ বহন করা অনেকটা অমানবিকও বটে। সরকারি স্কুল হওয়ায় আমাদের স্কুলের শিক্ষার্থীদের তেমন ভারী ব্যাগ বহন করতে হয় না।
কুমিল্লার ইংরেজি মাধ্যমে পরা শিক্ষার্থী বাবা বলেন আমার সন্তানের ব্যাগের ওজন এত বেশি যে আমি বহন করতেই কষ্ট হয়।
ডাক্তার রায়হান রাশেদ বলেন, শিশুরা ভারী ব্যাগ বহন করার কারনে মানসিক ও শারীরিক বিভিন্ন সমস্যায় ভোগে। ৫ থেকে ১২ বছরেরে শিশুদের মধ্যে এই প্রবনতা দেখা যায়। শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের নিদের্শরা থাকা সত্তেও শিশুদের এইভাবে ব্যাগ বহন করতে দেয়া কোন ভাবেই ঠিক নয়। সকল স্কুলে দুই সেট বই দেয়া হলে শিক্ষার্থীরা ব্যাগে বই বহন অরেকটা কমে আসবে। শিশুদের অতিরিক্ত বই কমিয়ে দিতে শিক্ষা মন্ত্রনালয়কে যথাযথ ভূমিকা রাখতে হবে।