পুলিশের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাকে বক্তব্য দিতে বাধা জামায়াত নেতার

চাঁপাইনবাবগঞ্জে পুলিশের উপমহাপরিদর্শকের এক অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধাকে বক্তব্য দিতে বাধা দেওয়া এবং তাঁর দিকে তেড়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে জামায়াত এক নেতার বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে চেষ্টা করেও জামায়াত নেতার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

গতকাল শনিবার বিকেলে শহরের শহীদ সাটু অডিটরিয়ামে এ ঘটনা ঘটে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পুলিশ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সুধী সমাবেশের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পুলিশের রাজশাহীর উপমহাপরিদর্শক মোহাম্মদ শাহজাহান।

সেই অনুষ্ঠানে এসেছিলেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ইউনিটের সাবেক সহকারী কমান্ডার মো. তরিকুল আলম। উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তব্য দেওয়ার সময় তাতে বাধা দেন জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য লতিফুর রহমান।

মুক্তিযোদ্ধা তরিকুল আলম বলেন, ‘আমি বক্তব্য শুরুর কিছু পরেই চিৎকার চেচামেচি শুরু হয়ে যায়। একপর্যায়ে আমাকে মাইক্রোফোন ফেরত দিতে বলা হয়। আমি আমার কথাগুলো বলতেই পারিনি।’ তিনি বলেন, ‘আমি কোনো দলের লেজুড়বৃত্তি করি না। এরপরও আমাকে কথা বলার সুযোগ দেয়া হয়নি।’

অনুষ্ঠানে উপস্থিত একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন, তরিকুল আলম মহান মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে চব্বিশের অভ্যুত্থানকে না মেলানোর অনুরোধ জানান। এ সময়ই লতিফুর রহমান তাঁকে বাধা দেন। নিজের আসন থেকে উঠে বারবার তরিকুল আলমের দিকে তেড়ে আসেন।

অনুষ্ঠানের একটি ভিডিওতেও দেখা যায়, বারবার তরিকুল আলমের দিকে তেড়ে যাচ্ছেন লতিফুর রহমান। অনুষ্ঠানের আয়োজক পুলিশ কর্মকর্তাসহ উপস্থিত অন্যরা তাঁকে থামানোর চেষ্টা করছেন।

এ বিষয়ে লতিফুর রহমানের সঙ্গে কথা বলার জন্য তাঁর ব্যবহৃত নম্বরে কল করা হলে অপরপ্রান্ত থেকে জানানো হয়, তিনি বাড়িতে নেই। এ সময় কল গ্রহণকারী তাঁর বিকল্প ফোন নম্বরও চাইলেও তিনি তা দিতে চাননি।

তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জে পুলিশ সুপার রেজাউল করিম বলেন, ‘ঘটনাটি একেবারেই অনাকাঙ্ক্ষিত এবং অপ্রত্যাশিত। অনুষ্ঠানটি উন্মুক্ত হওয়ায় আমন্ত্রিত নন এমন অনেকেই সেখানে উপস্থিত ছিলেন।’

আরো পড়ুন