তাহরিকে খতমে নবুওয়াত বাংলাদেশের আমির ড. মাওলানা এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী পীর জৈনপুরী বলেছেন, বাক-স্বাধীনতার নামে যেই ইসলামের বিরোধিতা করবে তাকে আইনের আওতায় আনতে হবে। জঙ্গি তকমা দিয়ে আমার দেশের আলেম ওলামাদের কারাগারে রাখা হয়েছে। বাবর সাহেব যদি মুক্তি পায় তাহলে জঙ্গির মামলায় আলেম ওলামারা কেন মুক্তি পাবে না। যদি তারা মুক্তি না পায় তাহলে শুধু সংস্কার কেন নির্বাচন পর্যন্ত হতে দেওয়া হবে না।
শনিবার (৩ মে) চার দফা দাবিতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
মাওলানা এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী বলেন, নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন করে এবং মানবিক করিডোরের নামে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়া হচ্ছে।
‘আমার মনে হয়, নারীবিষয়ক বিতর্কিত সংস্কার কমিশন গঠন করে আমাদের দৃষ্টি ভিন্নদিকে প্রবাহিত করা হচ্ছে, অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিক্রির সওদাবাজি হচ্ছে কি না তাও দেখতে হবে।’
তিনি বলেন, হেফাজতে ইসলাম শুধু দাবিই করবে না, সব মাজহাবের মানুষের পূর্ণ সমর্থন হেফাজতে ইসলামের প্রতি আছে। কারণ হেফাজতে ইসলাম হচ্ছে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ অরাজনৈতিক সংগঠন।
তিনি মহাসমাবেশের পক্ষ থেকে দেশের কোটি কোটি মুসলমানের পক্ষ থেকে হেফাজতে ইসলামের আমিরের উদ্দেশ্যে বলেন, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশে রাজনীতি করে না, করবেও না। কিন্তু অপরাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
বাংলাদেশের ৫৩ বছরের ইতিহাস কলঙ্কিত উল্লেখ করে আব্বাসী বলেন, দেশের আলেম ওলামা পীরমাশায়েক ও মাদ্রাসা ছাত্রদের পবিত্র রক্তের ওপরে পা রেখে তারা ক্ষমতায় যায়। ক্ষমতায় গিয়েই তারা ইসলাম ও মুসলমানদের চ্যালেঞ্জ করে। এই সুযোগ আর দেওয়া হবে না। অনতিবিলম্বে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সমস্ত প্রস্তাব বাতিল করতে হবে। শুধু বাতিল করলেই হবে না, যে নারী নামক হিজড়াগুলো এই দুঃসাহস করেছে তাদের গ্রেপ্তার করে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।
বক্তব্যে ড. ইউনূসকে আহ্বান জানিয়ে এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী বলেন, আমরা গত ১৬ বছর ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে রক্ত দিয়েছি। সর্বপ্রথম রামবাম নাস্তিক, ভারতীয় আধিপত্যবাদ, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে শাপলা চত্বরে রক্ত দিয়েছে হেফাজতে ইসলামের আলেম ওলামা কর্মীরা। সেই আন্দোলনের আগ্নেয়গিরিতে গত ৫ আগস্ট ছাত্রজনতা আগুন দিয়েছে। অতএব আলেম ওলামাদের বাদ দিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া হবে না।
তিনি আরও বলেন, ড. ইউনূস সাহেব অবস্থান পরিষ্কার করুন, মানবিক করিডোরের নামে বাংলাদেশকে ইন্দোপ্যাসেফিক অঞ্চলে যুদ্ধে ঠেলে দেবেন না। আমরা ভারতকে শায়েস্তা করেছি। যদি আটলান্টিকের ওপার থেকে কেউ আগ্রাসন করতে আসে তাহলে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি মাদ্রাসা হবে একেকটি ক্যান্টনেমন্ট। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মাদ্রাসার ছাত্ররা মাঠে নামতে বাধ্য হবে।
আগ্রাসনবাদী শক্তিগুলোর চোখ তুলে নেওয়ার হুমকি দিয়ে মাওলানা এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী বলেন, যদি বাংলাদেশের লালসবুজ পতাকার দিকে কেউ চোখ তুলে তাকান তাহলে সেই চোখ আমরা উপড়ে ফেলব। আমার বাংলার এক ইঞ্চি মাটিতে কেউ থাবা দিলে সেই হাত ভেঙে দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে অবশ্যই কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে। নাস্তিকদের শায়েস্তা করতে ব্লাসফেমি আইন করতে হবে। এজন্য যদি রক্ত দিতে হয় দেবো, কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণা করতে মাঠে নামতে বাধ্য হবে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা।
মোবাইল: +৮৮০১৭১৭৯৬০০৯৭
ইমেইল: news@dailycomillanews.com
www.dailycomillanews.com