জনপ্রশাসন সংস্কারের ধারাবাহিকতায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রাদেশিক সরকার প্রতিষ্ঠার প্রস্তাবের সঙ্গে একমত নয় জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। প্রাদেশিক সরকার দেশের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ, বরং স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করা উচিত বলে মনে করে দলটি। সেজন্য কুমিল্লা ও ফরিদপুর নামে দুটি নতুন বিভাগ ঘোষণার পক্ষে মত দিয়েছেন তারা।
মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে ‘বর্ধিত আলোচনা’ শেষে এসব কথা বলেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার।
আলোচনায় ক্ষমতা ভারসাম্য, জবাবদিহিতা এবং বিকেন্দ্রীকরণ তিনটি বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে নতুন করে মৌলিক সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছে এনসিপি।
সংবিধান সংশোধনীর ক্ষেত্রে গণভোট প্রস্তাবের পক্ষে এনসিপি ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে একমত জানিয়ে বলেন, তবে রাষ্ট্রের ক্ষমতা সংশ্লিষ্ট এবং জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছাড়া সংবিধানের ছোট সংশোধনীর ক্ষেত্রে গণভোটের আয়োজন করার বাধ্যবাধকতা রাখার প্রয়োজন নেই। কোন ধারায় গণভোটের বাধ্যবাধকতা থাকবে, সেটাও সুনির্দিষ্ট হতে হবে।
সংস্কার প্রশ্নে দ্বিতীয় দফার চলমান বৈঠকে আরও যেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে সেগুলো হলো- সংসদে স্থায়ী কমিটির প্রধান বিরোধীদল থেকে হতে হবে। এছাড়াও দলের বিরুদ্ধে ভোট দিতে পারবেন সংসদ সদস্যরা। সংবিধান সংশোধনীতে এখনও ৭০ অনুচ্ছেদের বিলুপ্তি চায় তারা।
এছাড়াও নির্বাচন কমিশনের জবাবদিহিতা, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে করতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ সংশোধনের ক্ষেত্রে অবশ্যই গণভোটে যেতে হবে, তবে খুবই মাইনোর হলে সেটা এভাবেই করা যাবে। প্রধান বিচারপতি হতে হবে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হতে হবে ইলেক্ট্রোরাল পদ্ধিতিতে, নারী আসন-উচ্চ কক্ষে ১০০ আসনের মধ্যে ২৫ শতাংশ নারী থাকতে হবে। ফরিদপুর ও কুমিল্লাকে বিভাগ করার ক্ষেত্রে একমত ও জেলা পরিষদ থাকা দরকার, স্থানীয় নির্বাচনে দলীয় প্রতীক থাকা যাবে না বলেও তুলে ধরে এনসিপি।
এনসিপির পক্ষ থেকে বৈঠকে যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার ছাড়াও অংশ নেন দলের সদস্যসচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, জাবেদ রাসিন ও আরমান হোসাইন। এর আগে সকালে বৈঠকের শুরুতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে মৌলিক সংস্কারের রূপরেখা তুলে দেন এনসিপির প্রতিনিধিরা।
মোবাইল: +৮৮০১৭১৭৯৬০০৯৭
ইমেইল: news@dailycomillanews.com
www.dailycomillanews.com