ড. ইউনূসের পাশে দাঁড়াতে একসঙ্গে দেশে ফিরবেন পিনাকী-ইলিয়াস-কনক

দেশের জন্য যদি প্রয়োজন হয় তবে পিনাকী-ইলিয়াস-কনক একসঙ্গে দেশে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ও ইউটিউবার পিনাকী ভট্টাচার্য।
শুক্রবার (২৩ মে) বাংলাদেশ সময় সোয়া ১১টার দিকে এক ফেসবুক পোস্টে এই কথা জানান তিনি।
পোস্টে তিনি লিখেন, দেশের জন্য যদি প্রয়োজন হয়, তবে প্রফেসর ইউনূসের পাশে দাঁড়ানোর জন্য পিনাকী-ইলিয়াস-কনক সরওয়ার একসাথে ঢাকা এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করবেন।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গণে খুব দ্রুততার সাথে একের পর এক ঘটনা ঘটছে। এই ঘটনাপ্রবাহে সর্বশেষ সংযোজন–অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগের কথা ভাবছেন, এই খবর।
এর আগে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ দেশে বিভাজন ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বৃহস্পতিবার (২২ মে) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
স্ট্যাটাসে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘যে বিভাজনটা অপ্রত্যাশিতভাবে আমাদের মধ্যে এসেছিল, সেই বিভাজনকে দেশ ও জাতির স্বার্থে মিটিয়ে ফেলতে হবে। তিনি উল্লেখ করেন, এ দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য এবং পতিত ফ্যাসিবাদের নগ্ন দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র থেকে মুক্তির জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
‘মনে রাখবেন, আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতনে দেশে-বিদেশে অনেকে নাখোশ হয়ে আছে। এই নাখোশ বান্দারা আমাদের বিভাজনের সুযোগ নিতে নিতে আজকের এই অস্থিতিশীল দিন এনেছে। আমরা সবাই এক হয়েছিলাম বলে দীর্ঘ দেড় যুগের শক্তিশালী ফ্যাসিবাদকে তছনছ করতে পেরেছিলাম। যদি আমরা খণ্ড-বিখণ্ড হয়ে যাই, তাহলে পতিত ফ্যাসিবাদ এবং তার দেশি-বিদেশি দোসরেরা আমাদের তছনছ করার চেষ্টা করবে।’
তারও আগে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বৃহস্পতিবার (২২ মে) বিকেল ৫টায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক পোস্টে লিখেছেন, ‘দেশপ্রেমিক শক্তির ঐক্য অনিবার্য।
আগেকার যেকোনো বক্তব্য ও শব্দচয়ন, যা বিভাজনমূলক ছিল— সেগুলোর জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। সরকারে আর এক দিনও থাকলে অভ্যুত্থানের সব শক্তির প্রতি সম্মান ও সংবেদনশীলতা রেখে কাজ করতে চাই। পুরনো বন্দোবস্তের বিভেদকামী স্লোগান ও তকমাবাজি, যা বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে হত্যাযোগ্য করে তোলে, সেগুলো পরিহার করলেই আশা করি, ভবিষ্যৎ রাষ্ট্র গণতান্ত্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক হবে।’
তিনি লেখেন, ‘বাংলাদেশের শত্রুরা ঐক্যবদ্ধ ও আগ্রাসী। সার্বভৌমত্ব ও গণতান্ত্রিক সব প্রতিষ্ঠান হুমকির মুখে। দেশপ্রেমিক জনগণ, যারা জুলাই অভ্যুত্থানে ঐক্যবদ্ধ ছিলেন, তাদের সামনে দীর্ঘ পরীক্ষা। এ পরীক্ষা ঐক্যের এবং ধৈর্যের। এ পরীক্ষা উতরে যেতেই হবে।’