ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল আব্দুররহিম মুসাভি ঘোষণা করেছেন, দখলদার ইসরাইলি শাসনের বিরুদ্ধে শীঘ্রই ‘শাস্তিমূলক অভিযান’ শুরু করতে যাচ্ছে ইরান। মঙ্গলবার (স্থানীয় সময়) রাতে এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ইরান এখন পর্যন্ত যে পাল্টা হামলাগুলো চালিয়েছে, সেগুলো মূলত সতর্কবার্তা এবং প্রতিরোধমূলক ছিল। প্রকৃত শাস্তিমূলক অভিযান এখনো শুরু হয়নি।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে তাসনিম নিউজ। তিনি বলেন, ‘যেসব সামরিক অভিযান আমরা এখন পর্যন্ত চালিয়েছি, তা শুধুই হুঁশিয়ারি। ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়ায় এখন শাস্তির পালা আসছে।’
ভিডিও বার্তায় মুসাভি ইসরাইল অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের অধিবাসীদের, বিশেষ করে তেল আবিব ও হাইফার বাসিন্দাদের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘জীবন বাঁচাতে এসব এলাকা ত্যাগ করুন। বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর পশুত্বসুলভ আকাঙ্ক্ষার বলি হবেন না।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইরানি জাতি কখনও কোনো আগ্রাসনের সামনে মাথানত করেনি, ইতিহাস তার সাক্ষী। এবারও বর্বর ইসরাইলি হামলার মোকাবিলা করে তাদের অপরাধের জন্য উপযুক্ত শাস্তি দেবে ইরান।’
ইরানের সর্বোচ্চ এই সামরিক কর্মকর্তা জানান, ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) অ্যারোস্পেস ফোর্স এবং বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিটের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, পুলিশ এবং গোয়েন্দা মন্ত্রণালয় একত্রে সমন্বিতভাবে কাজ করছে। এই বাহিনীগুলো একযোগে শত্রুর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছে এবং গুরুত্বপূর্ণ ও কৌশলগত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে।
তিনি বলেন, ১৩ জুন থেকে শুরু করে দখলদার ইসরাইলি বাহিনীর আগ্রাসনের জবাবে ইরান একাধিক দফায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি লক্ষ্যবস্তুর ওপর।
ইসরাইলের এই ‘উসকানিমূলক’ হামলায় ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা, সামরিক ঘাঁটি ও আবাসিক এলাকাগুলো লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়। এতে নিহত হয়েছেন ইরানের শীর্ষ সামরিক কমান্ডার, পারমাণবিক বিজ্ঞানী এবং সাধারণ নাগরিক, যার মধ্যে ৪৫ জন নারী ও শিশু রয়েছে বলে জানিয়েছে ইরান।
মোবাইল: +৮৮০১৭১৭৯৬০০৯৭
ইমেইল: news@dailycomillanews.com
www.dailycomillanews.com