ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ ও আনসারের পাশাপাশি স্কুল-কলেজের ছাত্রদেরও স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে নিয়োগের প্রস্তাব নির্বাচন কমিশনে করেছে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এমন দাবির কথা জানান দলটির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু।
তিনি বলেন, সিইসির সঙ্গে বৈঠকে আমরা নয় দফা প্রস্তাব করেছি। আমরা মনে করছি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যা আছে, পুলিশ, আনসারসহ অন্যরা তা মোকাবিলা নাও করতে পারেন। এজন্য আমরা প্রস্তাব করেছি স্কুল ছাত্রদের স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে নির্বাচনের দায়িত্বে নিয়োজিত করার। পুলিশ, আর্মির পাশাপাশি যারা ভোটার নন, যারা গণঅভ্যুত্থানেও ভূমিকা রেখেছেন, ছাত্রীসহ তাদের কথা বলেছি। সিইসি প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘খুবই ভালো আইডিয়া।’
এবি পার্টি প্রধান বলেন, ভোটে পঁচিশ লাখ টাকা নির্বাচনী ব্যয় করা যায়। আমরা বলেছি, কাটছাঁট করার জন্য। কিন্তু ইসি তা করছে না। পোস্টার নিষিদ্ধ করে ইসি নিজেই ছাপাতে পারে কিনা। যত্রতত্র পোস্টার না থাকলে পরিবেশের ক্ষতি হবে না, আবার ব্যয়ও কমবে।
তিনি বলেন, ভোটের দিন ভোটারদের কেন্দ্রে আনা, পোলিং এজেন্টদের আপ্যায়নের ব্যবস্থা ইত্যাদি ক্ষেত্রে প্রার্থীরা ব্যয় করেন। ভোটারদের আনা-নেওয়া এবং আপ্যায়নের ব্যবস্থা যদি ইসি করেন, প্রার্থীর খরচ কমে যাবে। তখন আর মিথ্যা তথ্য দেওয়ার প্রয়োজন পড়বে না।
এছাড়া আমরা বলেছি, ভোট সেন্টার মাঠে না করে উন্মুক্ত স্থানে করা যায় কিনা। খোলামেলা থাকলে ভোট চুরি হবে না। খোলা মাঠে হলে সাংবাদিকসহ অন্যদের মনিটরিং সহজ হবে।
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, প্রবাসীদের ভোটের ব্যবস্থা নিয়ে কথা বলেছি। একই সঙ্গে দ্বৈত নাগরিকরা যেন প্রার্থী হতে পারেন, সে দাবি করেছি। কেননা, দ্বৈত নাগরিকরা বিচার হচ্ছেন। আমাদের উপদেষ্টা পরিষদেও আছেন। দ্বৈত নাগরিকরা প্রার্থী হলে আমরা ভালো সংসদ সদস্য পাবো।
তিনি আরও বলেন, আমরা একটা পার্লামেন্টই কার্যকর করতে পারিনি। তাই পার্লামেন্টের দুটো হাউজের বিরোধিতা করেছি। এখন যেহেতু সবাই বলছে, আমরা আপার হাউজে পিআর চেয়েছি। এটা না হলে দুটো হাউজের প্রস্তাবটার সমর্থন প্রত্যাহার করে নেবো। এছাড়া পাশাপাশি আমরা ২০০ আসনে বর্তমান পদ্ধতি, বাকি ১০০ আসনে পিআর হতে পারে, এমন বলেছি। ইসিকে বলেছি, ঢাল তলোয়ারহীন নিধিরাম সর্দার না হতে। কী কী ভাবে কারচুপি হয়, তা আমরা তুলে ধরেছি। এজন্য কঠোর হতে বলেছি এবং প্রচারের জন্য বলেছি। তারা শক্ত অবস্থান নেবেন বলে জানিয়েছে।
ভোটের দায়িত্বে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, পুলিশের কার্যকারিতা কমে যাচ্ছে। অভ্যুত্থানের পরেও আমরা দেখেছি, কিশোরদের গ্রহণযোগ্যতা বেশি। আমরা বলেছি, ‘পাইলট করে এক্সিকিউট করতে আমরা বলবো না যে, থ্রেট অ্যানালাইসিস না করে এটা করেন।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শুধু ভোট করার জন্য নয়, ভোটারদের কেন্দ্রে আনাও ইসির দায়িত্ব। তাই ইসির কাছে তাদের আনতে প্রস্তাব করছি।
ভোট নিয়ে সংশয়ের বিষয়ে এই নেতা আরও বলেন, সরকারের প্রধান বলেছেন ভোট হবে, সিইসি বলেছেন ভোট হবে, দলগুলোর অনেকে বলছে ভোট হবে; এখন যারা বলছে ভোট হবে না, তাদের উদ্বেগ একটু গুরুত্বপূর্ণ। যারা ভোট নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছেন, তাদের উদ্বেগ পূরণ করেই ভোট এই সময়ের করা সম্ভব। বিচার, জুলাই সনদ এগুলো সম্ভব। তবে এগুলো না হলে ভোট হতে দেওয়া যাবে না, এটাতে আমরা বিশ্বাসী নই।
মোবাইল: +৮৮০১৭১৭৯৬০০৯৭
ইমেইল: news@dailycomillanews.com
www.dailycomillanews.com