এনসিপি থেকে পদত্যাগের পর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিতে গিয়ে গুরুতর সংকটে পড়েছেন তাসনিম জারা। নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ভোটার সিরিয়াল নম্বর সংগ্রহ করতে না পারায় তার মনোনয়ন দাখিল অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে।
বাংলাদেশে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিতে হলে নিজ নির্বাচনী এলাকার মোট ভোটারের কমপক্ষে ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর ও ভোটার সিরিয়াল নম্বর সংগ্রহ করে তা নির্বাচন কমিশনে জমা দিতে হয়। এই সিরিয়াল নম্বর ছাড়া স্বাক্ষর গ্রহণ আইনত বৈধ নয়।
তবে কেউ যদি আগে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে থাকেন, তাহলে এই ১ শতাংশ স্বাক্ষরের শর্ত প্রযোজ্য হয় না। এ ছাড়া আয়কর রিটার্ন, সম্পদের বিবরণী এবং নির্ধারিত ফরম্যাটে ছবি ও হলফনামাসহ অন্যান্য কাগজপত্র নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী জমা দিতে হয়।
তাসনিম জারা জানান, তিনি গতকাল থেকেই তার নির্বাচনী এলাকা খিলগাঁও (ঢাকা-৯)-এ স্বাক্ষর সংগ্রহ শুরু করেছেন। তবে আজ জানতে পারেন, ভোটার সিরিয়াল নম্বর পাওয়ার জন্য যে পাঁচটি অনুমোদিত পদ্ধতি রয়েছে—এর একটিও বর্তমানে কার্যকর নয়।
তিনি বলেন,“ভোটার নম্বর ছাড়া স্বাক্ষর বৈধ হয় না। অথচ নির্বাচন কমিশন এমন পরিস্থিতি তৈরি করেছে, যেখানে একটিও উপায়ে ভোটার নম্বর পাওয়া যাচ্ছে না।”
নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী ভোটার নম্বর পাওয়ার উপায়গুলো হলো—
১) এসএমএসের মাধ্যমে
২) অনলাইনে ওয়েবসাইটে
৩) কল সেন্টারের মাধ্যমে
৪) কিউআর কোড স্ক্যান করে
৫) নির্ধারিত ডিজিটাল সেবার মাধ্যমে
তবে তাসনিম জারার অভিযোগ- ওয়েবসাইটের সার্ভার ডাউন, এসএমএস ও কল সিস্টেম কাজ করছে না, কিউআর কোড ও অন্যান্য ডিজিটাল মাধ্যমও অকার্যকর। তার ভাষায়, “একদম অসম্ভব করে রাখা হয়েছে। প্রতিটি পথ বন্ধ।”
সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয় হলো—আজই মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। ফলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় ভোটার সিরিয়াল নম্বর সংগ্রহ করা সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে চরম সংশয় তৈরি হয়েছে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে তাসনিম জারা আইনগতভাবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাখিল করতে ব্যর্থ হতে পারেন, যা তার নির্বাচনে অংশগ্রহণ পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে পারে।
মোবাইল: +৮৮০১৭১৭৯৬০০৯৭
ইমেইল: news@dailycomillanews.com
www.dailycomillanews.com