লাকসামে বিয়ের কথা বলে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ
ডেস্ক রিপোর্টঃ কুমিল্লার লাকসামে বিয়ের কথা বলে তিন তরুণ মিলে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলা সদরের উত্তর লাকসাম এলাকার আবদুল আউয়ালের বাড়িতে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে।
মঙ্গলবার (১৭ এপ্রিল) রাতে ধর্ষণের শিকার ওই তরুণীর মা বাদী হয়ে লাকসাম থানায় মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে। অন্য দুই আসামি পলাতক রয়েছে বলে জানান লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মাহফুজ।
গ্রেফতার রুবেল মিয়া লাকসামের গোপালপুর এলাকার হারুনুর রশিদের ছেলে।
ওসি জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয়ের পর ওই তরুণীর সঙ্গে ফাহাদ হোসেন জনি নামে এক তরুণের গভীর সম্পর্ক হয়। জনি ওই তরুণীকে জানিয়েছিল সে প্রবাসে থাকে। গত ১৩ এপ্রিল জনি তরুণীকে জানায় যে, সে দেশে এসেছে এবং দেখা করতে চায়। এরপর ওই তরুণীকে বিয়ের কথা বলে উত্তর লাকসাম এলাকায় আবদুল আউয়ালের বাড়ির সপ্তম তলায় নিয়ে যায়। পরে সেখানে আগে থেকে অবস্থান করা ফাহাদ হোসেন জনি (২৪), লাকসাম গোপালপুর এলাকার ছালেহ আহম্মেদের ছেলে ও তার সহযোগী রুবেল মিয়া (৩১, একই এলাকার হারুনুর রশিদের ছেলে এবং আবদুল আউয়ালের বাড়ির দারোয়ান আনিছুর রহমান (৩০), মনোহরগঞ্জ উপজেলার শাকতোলা পাটোয়ারী বাড়ির মৃত সিরাজুল ইসলামে ছেলে মিলে তরুণীকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।
ওসি আবদুল্লাহ আল মাহফুজ আরও জানান, ধর্ষণের শিকার তরুণীর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে মোবাইল ফোন ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে রুবেল মিয়া নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার রুবেলের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী জানা যায়, ধর্ষণের ঘটনায় আরও দু’জন জড়িত রয়েছে। তাদের মধ্যে ফাহাদ হোসেন জনি প্রধান আসামি। জনি এবং আনিছুর রহমান পলাতক রয়েছে। তাদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। বুধবার ওই তরুণীকে মেডিক্যাল চেক আপের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।