কুমিল্লায় একাধিক স্থানে ধানের শীষের প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারে হামলা (ভিডিও)

ডেস্ক রিপোর্টঃ কুমিল্লা-৩ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদের ছোট ভাইকে এম মজিবুল হকের নির্বাচনী প্রচারে হামলা হয়েছে।

শুক্রবার বিকালে মুরাদনগর বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিকাল ৫টার দিকে মুরাদনগর বাজারে গণসংযোগ করছিলেন কে এম মজিবুল হক। অতর্কিতভাবে ছাত্রলীগ-যুবলীগের ক্যাডাররা সেখানে রামদা ও লাঠিসোঁটা হাতে হামলা চালায়। ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে গাড়ি ভাঙচুর করে। এতে বেশ কয়েকজন বিএনপির কর্মী আহত হয়েছে।

মজিবুল হক মুরাদনগরে পৌঁছার আগেই দেশীয় অস্ত্র হাতে ছাত্রলীগ-যুবলীগের ব্যাপক মহড়া দিতে দেখা যায়। দুপুর ১টায় নহলচৌমুহনী এলাকায় ধানের শীষের প্রার্থীকে স্বাগত জানাতে অপেক্ষমাণ নেতাকর্মীদের ওপরও হামলা হয়। এতে ৪ বিএনপি কর্মী আহত হয়েছেন। এরা হলেন নেছার উদ্দিন খোকন, আবুল কালাম আজাদ, আলী হাসান ও মো. লিটন।

শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে মজিবুল হক ঢাকা থেকে গাড়িবহরযোগে মুরাদনগর উপজেলা সদরে পৌঁছান। এ সময় হাজারো নেতাকর্মী মিছিল-স্লোগানে তাকে স্বাগত জানান।

কে এম মজিবুল হক উপস্থিত নেতাকর্মীদের বলেন, ৩০ ডিসেম্বর সকল বাধা অতিক্রম করে নির্ভয়ে আপনারা ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। দিনটি যেন ঈদ উৎসবের মতো হয়। বাধা আসতে পারে সেগুলোকে আপনাদের দৃঢ়তার সঙ্গে মোকাবেলা করতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের প্রিয় নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে এই সরকার মিথ্যা মামলায় কারাবন্দি করে রেখেছে। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে বিজয়ের মধ্য দিয়ে আমরা দেশনেত্রীকে মুক্ত করব। আপনারা সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকুন। বিজয় আমাদেরই হবে।

অপরদিকে কুমিল্লা ১১ আসনে ধানের শীষ প্রতিকের প্রার্থী জামায়াত নেতা সাবেক এমপি ডাঃ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের বাড়ীতে বোমা হামলা করেছে আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা, প্রত্যক্ষদর্শী জানায় আজ সন্ধা ৫.৩০ মিনিটে আলকোরা ইউনিয়নে ডাঃ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের বাড়ীর আশেপাশে প্রায় অর্ধশতাধিক মোটর সাইকেল যোগে আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা মহড়া দিতে থাকে।এর কিছুক্ষণ পরেই বোমা হামলা করা হয়। বোমা হামলার পর তার বাড়ির আসবাব পত্র ভাংচুর করে সরকার দলীয় লোকজন। এ সময় নৌকা প্রতিকের প্রার্থীর পক্ষের শ্লোগান দেওয়া হয়। বর্তমান এলাকায় থমথমে বিরাজ করছে।

এ বিষয়ে জামায়াত নেতা মাহফুজুর রহমান অভিযোগ করেন,তফসিল ঘোষণার পর থেকে নৌকা প্রতিকের লোকজন ২০ দলীয় কর্মীদের ব্যবসা ও বাড়ি ঘর ভাংচুর করে। আমাদের কর্মীদেরকে নিয়মিত পুলিশ হয়রানী করছে।সকল কিছুর ইন্ধনদাতা হিসেবে বর্তমান সরকার দলীয় প্রার্থীকে দায়ী করেন এই জামায়াত নেতা।এই বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার ওসিকে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি।

আরো পড়ুন