কুমিল্লায় বিস্ফোরণের রহস্য বের করতে পারেনি পুলিশ : আটক ৫

মারুফ আহমেদঃ কুমিল্লায় বিস্ফোরণে আহত কলেজ ছাত্র রিয়াজুল ইসলামের সাথে জঙ্গি সম্পৃক্ততার বিষয়টি মাথায় রেখেই তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা। কিন্তু ঘটনার ২দিন পেরিয়ে গেলেও গতকাল শুক্রবার বিকাল পর্যন্ত এ বিস্ফোরণের কোনো রহস্য বের করতে পারেনি পুলিশ।

এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিয়াজুলসহ ৫জনকে আটক করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে রিয়াজুল কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পুলিশ পাহারায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। আহত রিয়াজুল চাপাই নবাবগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার উলুকনগর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।

গত বুধবার মধ্য রাতে জেলার বুড়িচং উপজেলার নাজিরা বাজার সংলগ্ন ঘোষনগর এলাকায় এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শুক্রবার বিকালে বুড়িচং থানায় রিয়াজুলকে এজাহার নামীয় আসামি করে অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা হয়েছে।

এদিকে শুক্রবার বিকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি ড. এস.এম মনির-উজ-জামান বিপিএম-পিপিএম। এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধারকৃত বিস্ফোরণের আলামতগুলো শুক্রবার ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জেলার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের নাজিরা বাজার সংলগ্ন ঘোষনগর এলাকার হলি কেয়ার স্কুলের সাথে ৪তলা বাসার নিচ তলার একটি রুমে থাকতো কুমিল্লা সিটি কলেজের একাদশ শ্রেণির প্রথম বর্ষের ছাত্র রিয়াজুল (১৭) ও তার খালাত ভাই সোহাগ (১৪)। বাড়ির মালিক তাদের নানা হাজী আবদুল জলিল পরিবার নিয়ে থাকতো পাশের একটি ইউনিটে। গত বুধবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে রিয়াজুলের রুমে বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

ঘটনার খবর পেয়ে শুক্রবার বিকালে ঘটনাস্থলে আসেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি ড. এস.এম মনির-উজ-জামান বিপিএম-পিপিএম।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা পুলিশ সুপার মো. শাহ আবিদ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন, আবদুল্লাহ-আল মামুন, ডিবির ওসি একেএম মনজুর আলম, বুড়িচং থানার ওসি মনোজ কুমার পাল, কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া।

শুক্রবার পর্যন্ত এ ঘটনায় আটককৃতরা হচ্ছে- আহত কলেজ ছাত্র রিয়াজুল, তার নানা হাজী আবদুল জলিল, মামা আলমগীর, ফুফাতো ভাই রায়হান ও খালাত ভাই সোহাগ।

কুমিল্লা পুলিশ সুপার মো. শাহ আবিদ হোসেন বিপিএম সাংবাদিকদের জানান, প্রাথমিক তদন্তে যেসব তথ্য পাওয়া গেছে, তা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। তবে আহত রিয়াজুলের সাথে জঙ্গি সম্পৃক্ততা থাকার বিষয়টি সামনে রেখে তদন্ত চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তিনি আরও জানান, বোমা বিশেষজ্ঞ দল ঘটনাস্থল থেকে বিস্ফোরণের আলামতগুলো সংগ্রহ করে শুক্রবার দুপুরে ঢাকায় নিয়ে গেছে।

এ ঘটনায় বুড়িচং থানার এসআই শাহাদাৎ হোসেন বাদী হয়ে রিয়াজুলকে এজাহার নামীয় আসামি করে অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে শুক্রবার বিকালে বুড়িচং থানায় মামলা হয়েছে।

সন্ধ্যায় পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি ড. এস.এম মনির-উজ-জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের জানান, আমরা ঘটনাটি গুরুত্বের সাথে তদন্ত করছি। বিস্ফোরণের আলামত পরীক্ষা ও তদন্ত শেষে ঘটনার বিষয়টি জানা যাবে।

আরো পড়ুন