কুমিল্লায় ছিনতাই চক্রের ৬ সদস্য গ্রেফতার

স্ত্রীকে নিয়ে মোটরসাইকেলে চালিয়ে ঢাকা যাচ্ছিলেন ইয়াসির। পথে যানজট।
এসময় ছিনতাইকারীরা সুযোগ নেয়, লুটে নেয় ইয়াসির ও তার স্ত্রীর সঙ্গে থাকা জিনিসপত্র। তবে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি ছিনতাইকারীরা।

ইয়াসিরের হেলমেটে থাকা সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ে যায় ছিনতাইয়ের দৃশ্য। তা দেখে পাঁচ ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে কুমিল্লার দাউদকান্দি থানা পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (০১ জুন) সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানান কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আশফাক হোসেন।

তিনি জানান, গত ৩১ মে ভোর পৌনে ৪টার দিকে জেড এম তৌকি ইয়াসির তার স্ত্রী কামরুন নাহার তন্বীকে নিয়ে মহাসড়ক হয়ে মোটরসাইকেলে করে ঢাকা যাচ্ছিলেন। তারা মহাসড়কের দাউদকান্দি থানাধীন গাজীপুরগামী পাকা রাস্তার মাথায় পৌঁছে যানজটের কবলে পড়েন। এসময় দুজন লোক সুইচ গিয়ার ছুরি দিয়ে ভয় দেখিয়ে তাদের মোটরসাইকেলের চাবি নিয়ে নেন। তারা ইয়াসিরের মোটরসাইকেলের সামনে থাকা একটি গুগল পিক্সেল থ্রি মোবাইল ফোন ও তার একটি মানি ব্যাগ (যার মধ্যে নগদ টাকা, ভিসা কার্ড, মাস্টার কার্ড ছিল ও কামরুন নাহার তন্বীর কাছ থেকে নগদ ১৩০০ টাকা, একটি স্যামসাং মোবাইল ফোন এবং একটি ড্রোন ছিনিয়ে নেন। ওই সময় ইয়াসিরের হেলমেটের সঙ্গে থাকা সিসি ক্যামেরায় ছিনতাইকারীদের কর্মকাণ্ড ভিডিও হয়। দাউদকান্দি মডেল থানা পুলিশ ওই ভিডিওর সূত্র ধরে ছিনতাইয়ে সরাসরি জড়িত মো. রাকিব ও মো. জয়কে তাদের দাউদকান্দির পশ্চিম মাইজপাড়া ও উত্তর সতানন্দির বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে।

জিজ্ঞাসাবাদে তারা ছিনতাইয়ের কথা স্বীকার করেন এবং লুণ্ঠিত মালামাল তাদের চক্রের সদস্য শান্ত, সোহাগ ও জাহিদ হাসানের কাছে আছে বলে জানান। দাউদকান্দি থানা পুলিশের টিম তাদের দেওয়া তথ্যমতে শান্তকে তার দাউদকান্দির বলদাখালের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে এবং তার কাছ থেকে ছিনতাইকৃত ড্রোন উদ্ধার করে। শান্তর দেওয়া তথ্যমতে অপর দুই আসামি সোহাগ ও জাহিদকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সোহাগের কাছ থেকে ছিনতাইকৃত মোবাইল ফোন ও জাহিদের বাসা থেকে বাকি সামগ্রী উদ্ধার করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, রাকিবের নামে ১৩টি মামলা, সোহাগের নামে ১১টি মামলা, জয়ের নামে সাতটি ও জাহিদের নামে তিনটি ছিনতাই ও ডাকাতির প্রস্তুতির মামলা রয়েছে। এ ছিনতাইয়ের ঘটনায় তাদের নামে আরও একটি মামলা করা হয়েছে। পরে তাদের ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ৩১ মে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এ কর্মকর্তা জানান, এটি একটি বড় চক্র। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

আরো পড়ুন