লাকসামের ইউপি নির্বাচনের ফলাফল গেজেট প্রকাশে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার মুদাফ্ফরগঞ্জ উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের ফলাফল স্থগিত ও গেজেট প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে হাইকোর্টের বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি এ.কে.এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মো.মাহবুব শফিক ও ব্যারিস্টার মো.জাসিদুল ইসলাম জনি।

হাইকোর্টের দেওয়া ওই আদেশে নির্বাচনটি তদন্ত করে নতুন একটি নির্বাচন অনুষ্ঠান করার জন্য বলা হয়। এছাড়া ২০১৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ওই ইউপি নির্বাচনটি কেন বেআইনি ও ব্যর্থ নির্বাচন নয়? এবং কেন পুণরায় ভোট গণনা করে নতুন একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা প্রদান করা হবে না? তা জানতে চেয়ে বিবাদীদের বিরুদ্ধে একটি রুল জারি করেছে আদালত। আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে ওই রুলের জবাব দিতে বিবাদীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর লাকসাম উপজেলার মুদাফ্ফরগঞ্জ উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন মো.শাহীদুল ইসলাম শাহীন এবং বিএনপির মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন মো.শাহ আলম। ওইদিন বহিরাগত সন্ত্রাসীদের দিয়ে কেন্দ্র দখল, জালভোট প্রদান, ভোট কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দেওয়া, ভোটারদের কেন্দ্রে না আসতে দেওয়াসহ নানা অভিযোগে সকাল ১১টার দিকে ভোট বর্জন করেন ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী চেয়ারম্যান শাহ আলম। তবে ওইদিন রাতে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে বেসরকারিভাবে জয়ী ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার। সর্বশেষ ওই নির্বাচনকে সম্পূর্ণ অবৈধ দাবি করে গত ১৪ জানুয়ারি উচ্চ আদালতে এক রিট আবেদন করেন ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী চেয়ারম্যান শাহ আলম। এরপর শুনানি শেষে গত ১৭ জানুয়ারী আদালত এই আদেশ প্রদান করলেও আদেশের কপি প্রকাশিত হয় ২৪ জানুয়ারী বুধবার।
ওই রিট আবেদনে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, রিটার্নিং অফিসার, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ মোট ৯ জনকে বিবাদী করা হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ওই নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালনকারী মো.নাজিম উদ্দিন কালের কন্ঠকে বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত কোন কাগজপত্র পাইনি।

আরো পড়ুন