মুরাদনগরে জমি রক্ষায় কৃষকদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

মুরাদনগর প্রতিনিধিঃ কুমিল্লা মুরাদনগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের ভিটি পাচঁপুকুরিয়া গ্রামে প্রায় ১০ বিঘা ফসলি জমি দখল করে বহুমখী মৎস্য চাষ প্রকল্প নামে একটি মৎস্য খামার স্থাপন করে দীর্ঘ ১৬ বছর যাবৎ মাছ চাষ করে আসছে এক প্রভাবশালী চক্র। সেই কৃষি জমি দখলকৃতদের হাত থেকে রক্ষায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে। ভুক্তভোগি জমির মালিক ও কৃষক-কিষানীরা।

সোমবার সকালে উপজেলার ভিটি পাঁচপুকুরিয়া গ্রামে প্রকল্পটির সামনে মুরাদনর-ইলেয়টগঞ্জ সড়কে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।মানববন্ধনে কৃষক ও জমির মালিকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, খোরশেদ আলম, কারী আব্দুল জলিল, ইউছুফ মিয়া, খোরশেদ আলম, ছুফিয়া বেগম, আব্দুল হক, রফিকুল ইসলাম, আমেনা খাতুন, রিনা বেগম, হাসিয়া বেগম, মরিয়ম বেগম প্রমুখ।

বক্তব্যে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, প্রায় ১৬ বছর পূর্বে জোরপূর্বক ফসলি জমি দখল ও বিভিন্ন ভাবে কৃষকদের লোভ দেখিয়ে ১০ বছরের জন্য ইজারা নিয়ে ১০ বিঘা জমিতে বহুমখী মৎস্য চাষ প্রকল্প নামে একটি মৎস্য খামার স্থাপন করে একটি প্রভাবশালী চক্র। কৃষকরা ন্যার্য্য দাবি পাওয়া থেকে বঞ্চিত হওয়া ও কিছু বহিরাগতদের কারনে কৃষকদের ন্যায় কথা বলার সাহস পাচ্ছেনা। প্রকল্পটি শুরু হওয়ার পর থেকে নানা ধরনের বেআইনী কাজ ও আশান্তি শুরু হয় স্থানীয়দের মাঝে। গত ২০১২ সালে ইজারার মেয়াদ শেষ হলেও জোরপূর্বক দখল করে মাছ চাষ চালিয়ে যাচ্ছে চক্রটি। এবং এ প্রকল্পটি কেন্দ্র করে স্থানীয় ইউপি সদস্য নিখিল বাবু, প্রকল্পের পরিচালক মোস্তাক হত্যাসহ মজলিশ মিয়া নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়। প্রকল্পের অর্থ বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে আতৎসাধ, কৃষকদের ধান চাষে বাধা, মাছ চাষের কারনে আশে পাশের সড়ক, বাড়ি-ঘর বছরের পর বছর ক্ষতি গ্রস্থ হলেও কোন প্রকার ক্ষতিপূরন না দেওয়ার অভিযোগ করেন।

তারা আরো বলেন, গত ১৮ এপ্রিল কৃষি মন্ত্রনালয়, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক, স্থানীয় সংসদ সদস্য, পুলিশ সুপার, জেলা কৃষি কর্মকর্তা, জেলা মৎস্য কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ঠ বিভিন্ন দপ্তরে এ বিষয়ে অভিযোগ করেছে ভূক্তভোগী প্রায় তিন শত কৃষক। প্রয়োজনে আমরা আদালতে যেতেও প্রস্তুত আছি।এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন রাসেল বলেন, এব্যাপারে আমি অবহিত নই। লিখিত ভাবে অভিযোগ পেলে বিধি অনুযায়ি আমাদের যা করনিয় সেরকম সকল সহযোগিতা ও ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।

এ বিষয়ে সিনিয়র মুরাদনগর উপজেলা ভারপ্রাপ্ত মৎস্য কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ আমরা পেয়েছি। উভয় পক্ষকে আমরা ঠেকেছি যারা অভিযোগ করেছে তাদের সাথে কথা হয়েছে কিন্তু আভিযোক্তদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তদন্ত করে  প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিতু মরিয়ম জানান, অভিযোকটির স্থান সম্পর্কে দুদিন অফিস বন্ধ থাকায় আমি এখনু নিশ্চিত হতে পারিনি। এখন বিষটির সর্ম্পকে নিশ্চিত হয়ে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

আরো পড়ুন