ব্রাহ্মনপাড়ায় ২ সন্তানের জনকের আত্নহত্যা
মোঃ আশিকুর রহমানঃ কুমিল্লার ব্রাহ্মনপাড়া উপজেলার শশীদল ইউনিয়নের দক্ষিন নাগাইস শুকুর হাজীর বাড়ীর ২ সন্তানের জনক গতকাল ৫ মে সকালে বিষ (কেরির টেবলেট) খেয়ে আত্নহত্যা করে।
খবর পেয়ে ব্রাহ্মনপাড়া থানা পুলিশ নিহতের লাশ শোরত হাল রিপোট তৈরী করে ময়না তদন্তের জন্য তার লাশ কুমেক হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করে। এই ব্যাপারে নিহতের ভাই সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে ব্রাহ্মনপাড়া থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করে। নিহতের পিতা দক্ষিন নাগাইস গ্রামের আবদুল আলীম জানান গত ২/৩ মাস পূর্বে আমার ছেলে ইকবাল (২৮) নাগাইস বাজার সংলগ্নন একটি বাড়ীতে বাসা ভাড়া করে থেকে নাগাইস বাজারে তার ফার্নিচারের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। ঘটনার দিন সকাল ৯টায় আমার ছেলে ইকবাল তার নিজ বাসায় কেরির টেবলেট খেয়ে ছটফট করতে থাকলে তার স্ত্রী ও বাড়ীর লোকজন টের পেয়ে তাকে ব্রাহ্মনপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেওয়ার পথে সে মারা যায়।
নিহতের স্ত্রী আসমা আক্তার সাংবাদিকদের জানান প্রতিদিনের ন্যায় সে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেস হয়ে পেটের ব্যাথার ওষুধ খায়। আমি মনে করেছি আমার স্বামী প্রতিদিনের ন্যায় পেট ব্যাথার ওষুধ খেয়েছে। কিছুক্ষন পর দেখতে পাই সে ছটফট করতে থাকে তাৎক্ষনিক ভাবে তাকে তার ভাইদের সহযোগিতায় ব্রাহ্মনপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেওয়ার পথে সে মারা যায়।নিহতের পিতা আবদুল আলীম ও নিহতের স্ত্রী আসমা আক্তার জানান সে দীর্ঘ দিন যাবত পেটের ব্যাথায় আক্রান্ত ছিল , তবে সে কি কারনে কেরির ওষুধ খেয়েছে আমরা বলতে পারবনা। নিহতের স্ত্রী আরো জানান আমাদের বিয়ে হয়েছে ৬ বছর পূর্বে আমাদের দাম্পত্য জীবনে নিহত ইকবাল ২ সন্তানের জনক ও জননী হই। আমার বড় ছেলের নাম নুর মোহাম্মদ (৩) ছোট ছেলে মাকসুদ (৯মাস)।
ব্রাহ্মনপাড়া থানার এস আই যুযুৎসু যশ চাকমা সাংবাদিকদের জানান খবর পেয়ে নিহতের বাড়ীতে গিয়ে নিহতের শোরত হাল রিপোর্ট তৈরী করে নিহত ইকবালের লাশ পোষ্টমডেমের জন্য ঘটনার স্থল থেকে উদ্ধার করে কুমেক হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করি। তবে ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে মৃতুর প্রকৃত কারন জানাযাবে। এই ব্যাপারে নিহতের বড় ভাই সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে ব্রাহ্মনপাড়া থানায় একটি অপমৃতুর মামলা করে। নিহতের পিতা আবদুল আলীম বলেন আমার ১ মেয়ে ও ৮ ছেলে মধ্যে সে ২য়।