কুমিল্লায় ছাত্রদলের দু’গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক গুলি বিনময়, ককটেল বিস্ফোরণ
ডেস্ক রিপোর্টঃ বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কুমিল্লা নগরীতে জেলা ও মহানগর বিএনপি, ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ মিছিলে বিএনপির অপর গ্রুপের (কুসিক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু গ্রুপ) নেতৃবৃন্দ ফাকাঁ গুলিবর্ষণ ও প্রায় ৩০টি ককটেল বিস্ফোরণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
রবিবার (১০ জুন) দুপুর ১২ টায় কান্দিরপাড়ের বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জেলা দক্ষিণ ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন কায়সার জানান, বিএনপি চেয়ারপার্সন ও তিন বারের প্রধাণমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নেত্রীর কারামুক্তির দাবিতে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদল মিছিল বের করে দলীয় কার্যালয়ের সামনে আসলে তারা (কুসিক মেয়র গ্রুপ) গুলিবর্ষণ ও ককটেল বিস্ফোরণ করে। দলের নেত্রী , দেশমাতা যখন কারাগারে তখন আমাদের সবাইকে একত্র থাকা উচিত ছিল । কেন্দ্রীয় কর্মসূচী একত্রে পালন করা উচিত ছিল। কিন্তু তারা এটা না করে প্রশাসনের সহযোগিতায় ভারি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর হামলা করেছে। তারা বিএনপির কেউ না, বিএনপির লোক হতে পারে না। দলের ক্রান্তিলগ্নে যারা হামলা করতে পারে তারা আ’লীগেরই অংশ। তারা কোন বিএনপির কোন অংশ নয়। সারাদেশে যেখানে বিএনপির কোন লোক প্রশাসনের কারণে ভালভাবে কোন কর্মসূচী করতে পারে না, সেখানে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করা তাও আবার প্রশাসনের সহযোগিতায় । বুঝতেই পারছেন তারা বিএনপি না আ’লীগ করে। তিনি আরো বলেন, যাদেরকে নিয়ে ছাত্রদলের কমিটি করা হয়েছে তারা সবাই মেধাবি ও যোগ্যতা সম্পন্ন।
মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মোল্লা টিপু জানান, পদবঞ্চিতরা মনের ক্ষোভে গতকাল (শনিবার) বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে তালা দিয়েছিল। আজ ছাত্রদলের ব্যানারে অযোগ্য নেতৃবৃন্দরা মিছিল বের করে তালা ভাঙ্গতে আসে। তখন তাদের প্রতিরোধ করা হয়েছে। অযোগ্য নেতৃবৃন্দকে কোন কর্মসূচী পালন করতে দেয়া হবে না।
হামলাকারিরা বিএনপির নেতাকর্মী হতে পারে না -নিজাম উদ্দিন কায়সারের এক মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ইউসুফ মোল্লা টিপু বলেন, সব পদ যেহেতু তারাই পেয়েছে তারাই বিএনপি করে , আর আমরা কিছু না। দলের এ ক্রান্তিলগ্নে ছাত্রদলের ব্যানারে কর্মসূচীটা আর কয়েকদিন পরে দিলে কি হতো ? পদবঞ্চিতরা এখন মনের ক্ষোভে আছে । তারা একটু শান্ত হলেই এ কর্মসূচীটা দিতে পারতো। কায়সারের মনে রাখা উচিত পদবঞ্চিতদের কাছে এখন দল আর গুরুত্বপূর্ণ না। দল কিংবা কর্মসূচী এখানে কোন বড় বিষয় না। অযোগ্য ও আত্নীয়দের নিয়ে ছাত্রদলের কমিটি করা হয়েছে। তাই অযোগ্যদের কোন কর্মসূচী পালন করতে দেয়া হবে না। অযোগ্যদের পাশাপাশি কুমিল্লায় নিজাম উদ্দিন কায়সারকেও প্রতিরোধ করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে কোতয়ালী থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মোঃ সালাহউদ্দিন জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ২১ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।