বুড়িচংয়ে নির্বাচনী সভায় বিএনপির দু’গ্রুপে সংঘর্ষ
ডেস্ক রিপোর্টঃ কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলা সদরে বিএনপির নির্বাচনী সভায় বক্তব্য দেয়াকে কেন্দ্র করে নিজেদের দু’গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে সভাস্থলের চেয়ার, টেবিল, ভাংচুর করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে ৪ টায় উপজেলা সদরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বিকেলে উপজেলা সদরের স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে বিএনপির নির্বাচনী সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার পূর্বেই সভাস্থলের পাশ থেকে পুলিশ ৪টি ককটেল উদ্ধার করে। নির্দিষ্ট সময়ের ১ ঘন্টা পরে সভার কার্যক্রম আরম্ভ হয়। সভা শুরুর কিছুক্ষণ পর বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বিএনপির সাংগঠনিক সমন্বয়ক শওকত মাহমুদের অনুসারী উপজেলার যুবদলের সেক্রেটারী আবু নাসের, সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ পারভেজ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম ভূইয়া, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি মিয়া মোহাম্মদ সোহাগ পারভেজসহ বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল ও ছাত্রদলসহ বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠনের শতাধিক নেতৃবৃন্দ মিছিল নিয়ে সভাস্থলে প্রবেশ করে। এসময় মঞ্চে বিএনপির প্রার্থী অধ্যক্ষ মোঃ ইউনুস, কুমিল্লা দ. জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন, বুড়িচং উপজেলা বিএনপির সভাপতি, উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানসহ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শুরুর পর তৃনমূল নেতৃবৃন্দদের বক্তব্য না দিতে দেওয়ায় প্রথমে হট্টগোল সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে সভাস্থলে চেয়ার ছোড়াছুড়ি পরে নেতাকর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। একপর্যায়ে সভাস্থল সংঘর্ষে রূপ নেয়। এ সময় সভাস্থলে আসা নেতাকর্মীরা ছোটাছুটি করতে গিয়ে পড়ে আহত হয়। পরবর্তীতে শওকত মাহমুদের অনুসারী নেতাকর্মীরা সভাস্থল ত্যাগ করে চলে যান।
এ বিষয়ে বুড়িচং উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামাল হোসেনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজী হননি।
এদিকে উপজেলার সদরে বিএনপির নির্বাচনী সভাস্থলের পাশ থেকে ৪টি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করেছে বুড়িচং থানা পুলিশ।
বুড়িচং থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর আসে যে, বিএনপি নেতাকর্মীরা নাশকতার উদ্দেশ্যে বিস্ফোরকের মজুদ করেছে। এ খবরে বুড়িচং থানার এস আই নুরুল হক সঙ্গীয় ফোর্সসহ উপজেলা সদরের বন্ধন কমিউনিটি সেন্টারের উত্তর পাশে সভাস্থল সংলগ্ন থেকে ৪ টি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করে। পরে পুলিশ উদ্ধারকৃত ককটেলগুলিকে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার প্রসুÍতি চলছে ।