কুমিল্লা বুড়িচংয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী’কে বহিস্কার ও হয়রানির অভিযোগ
বুড়িচং প্রতিনিধিঃ আসন্ন ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলা থেকে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ উপজেলা আ’লীগের ১০ নেতা’কে বহিস্কারের নামে বিভ্রান্তীকর, অসাংগঠনিক অসত্য অবৈধ বক্তব্য প্রচারের প্রতিবাদে ও নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী আখলাক হায়দার। বুধবার দুপুরে উপজেলার ময়নামতি এলাকায় সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আখলাক হায়দার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিন্ধন্ধিতা করছি। আমি গত ২০১৪ সালেও চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেছি।ইতিমধ্যে সারাদেশে উপজেলা পরিষদের তিনটি ধাপে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে।
অধিকাংশ উপজেলাতে আ’লীগের নেতাকর্মীরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহন করে বিজয়ী হয়েছে। কেন্দ্রীয় আ’লীগ থেকে কোন উপজেলাতেই স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিরুদ্ধে দলীয় সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি। বরং নেতাকর্মীরা যেন নির্বাচনে অংশ নেয় সেটাকে আরো উৎসাহিত করা হয়েছে।
আমরা অবাক বিস্ময়ে লক্ষ্য করলাম গত ২৩ মার্চ শনিবার বুড়িচং উপজেলায় আ’লীগের নাম ব্যবহার করে আমি আখলাক হায়দার ১নং যুগ্ম আহ্বায়ক বুড়িচং উপজেলা আ’লীগসহ উপজেলা আ’লীগের শীর্ষ ১০ নেতাকে বহিস্কারের প্রস্তাব গ্রহন করা হয়েছে। যাদের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে তাদের মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যানসহ প্রভাবশালী নেতারাও রয়েছে। এ ধরনের তৎপরতা নজিরবিহীন, অগণতান্ত্রিক এবং সাংগঠনিক এখতিয়ার বহির্ভূত। যেখানে আমাকে হাজার হাজার মানুষ সমর্থন দিয়ে গণজোয়ার সৃষ্ঠি করেছেন। তা দেখে আমার প্রতিপক্ষ নৌকা মার্কার প্রার্থী দিশেহারা হয়ে উপজেলা বাসীদের মধ্যে বিভ্রান্তী তৈরী করেছেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, নৌকা মার্কার প্রার্থীর লোকজন আমিসহ আনারস মার্কার সমর্থীত নেতাকর্মীদের বিভিন্ন ভাবে হয়রানি, মারধর, প্রচার-প্রচারণা, গণ-সংযোগে বাঁধা হুমকী-ধমকী প্রদান করে আসছে। গত কয়েক দিনে উপজেলার সাদকপুর, পীরযাত্রাপুর, শংকুচাইল, রাজাপুর, বাকশীমূল, পিতাম্বর, কালিকাপুর, ফকিরবাজার, জরুইন, হরিপুর, যুদুপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় নেতাকর্মীদের গন-সংযোগ কালে বাঁধা প্রদান করে নৌকার প্রার্থীর লোকজন। তছাড়া কয়েকটি এলাকায় আমার নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করেছে তাঁরা। এ বিষয়ে আমি গত ২৪ মার্চ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত ভাবে ৩টি আবেদন করেছি। কিন্তু অতিব দুঃখের বিষয় আমার অভিযোগের তেমন কোন সুরহা না করে নির্বাচন কর্মকর্তারা ভারেল্লা এলাকায় আনারস মার্কার একটি তোরন ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশ দেন। আমি নির্দেশনা মেনে ওই তোরনটি অপসরান করি। কিন্তু নৌকা মার্কার প্রার্থীর ১০-১৫টি তোরন বর্তমানে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে, সে বিষয়ে নির্বাচন কর্মকর্তারা কোন ব্যবস্থা গ্রহন করছে না। এছাড়াও নির্বাচনী কাজে নিযুক্ত ম্যাজিট্রাট পরিচয় দিয়ে মোবাইল ফোনে কথা বলে আমাকে বিভিন্ন ভাবে মানুষিক হয়রানি করছে।
প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ এ অবস্থা চলতে থাকে আগামী ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠ হওয়া নিয়ে আমি সংঙ্কিত। তাই আমি আপনাদের মাধ্যমে নির্বাচন সংক্রান্ত উর্দ্ধতন কর্মকর্তা ও প্রশাসনের দৃষ্ঠি আকর্ষন করে বলতে চাই। বর্তমান সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সারাদেশের ন্যায় বুড়িচং উপজেলায়ও একটি সুষ্ঠ-অবাধ নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করুন।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার বাছির খাঁনের পরিচালনায় সংবাদ সম্মেলনে এসময় উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুর রব চেয়ারম্যান, আব্দুস সালাম চেয়ার্যান, উপজেলা আ’লীগের সদস্য ফজলুল হক মুন্সি চেয়ারম্যান, মোঃ সফিউল্লাহ, রেজাউল করিম (সাদকপুর), দেলোয়ার হোসেন বাচ্চুসহ উপজেলা আ’লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।