কুমিল্লায় মেহেদীর রং না শুকাতেই নববধুর আত্মহত্যা
বুড়িচং (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ কুমিল্লার বুড়িচংয়ে পুলিশ সদস্য স্বামীর সাথে অভিমানে তানজিমা আক্তার সাথী (১৮) নামে এইচএসসি পরীক্ষার্থী কলেজ ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে বলে জানা গেছে। শনিবার দুপুরে পিতার বাড়ি থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করেছে বুড়িচং থানা পুলিশ। মৃত সাথী উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের পাইকোডা গ্রামের রফিকুল ইসলামের মেয়ে।
মৃতের পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে জানা যায়, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশিদল ইউপি’র মল্লিকাদিঘী এলাকার আবুল হাসেমের ছেলে পুলিশ কনস্টেবল জুম্মন খানের সাথে মাত্র দু’মাস আগেই পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় সাথী’র। লাল টকটকে মেহেদীর রং এখনো লেগে আছে তার হাতে। স্বামী জুম্মন খান বরিশালে কর্মরত আছেন। বাবার বাড়িতে থেকেই এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে সাথী। সে কালিকাপুর আব্দুল মতিন খসরু কলেজের ছাত্রী।
শুক্রবার রাতে স্বামীর সাথে ফোনে কথা কাটাকাটি হয়। এরপর গত রাতের কোন এক সময় পরিবারের লোকজনের অজান্তে অভিমানে গায়ের ওড়না সিলিং এর সাথে পেঁচিয়ে ঝুলে পরে সে। সকালে তানজিমার কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে তানজিমার ঘরে গিয়ে ওড়নার সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় পরিবারের লোকজন। চিৎকার চেঁচামেচিতে পরিবারের অন্যান্য লোকজন সহ প্রতিবেশীরা ছুটে আসে। পরে তারাতারি তাকে দেহটি নামায় তারা। ততক্ষণে তানজিমার দেহ শীতল নিথর হয়ে গেছে। স্বামীর সাথে অভিমান করে চলে গেছে না ফেরার দেশে।
এবিষয়ে জানতে সাথীর স্বামী পুলিশ সদস্য জুম্মন খানের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
খবর পেয়ে বুড়িচং থানার এস আই রাজিব কর এবং এস আই কালাম হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কুমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এসআই রাজিব কর বলেন, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশের শরিরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায় নি। পরিবারের সদস্যদের কথামত প্রাথমিক ভাবে আত্মহত্যা বলেই ধারনা করা হচ্ছে তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানা যাবে। এঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।