লাকসামে মাদরাসার জায়গা জবর দখলের অভিযোগ

ডেস্ক রিপোর্টঃ লাকসামে প্রশাসনের আদেশ অমান্য করে ইবতেদায়ী মাদরাসার জায়গা জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার মাদরাসার ওই জায়গা সনাক্তকরণে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মহিসন মিয়া সরেজমিন পরিমাপ করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কান্দিরপাড় ইউনিয়নের অশ্বতলা গ্রামের আলী আহম্মদ, আলী আশ্রাফ, সুরুজ মিয়া ও আলী আকবর ১৯৮৫ সালে এবতেদায়ী মাদরাসা ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য ৬ শতক জমি দান করেন। কিন্তু মৃত সুরুজ মিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেন ও জাকির হোসেন মাদরাসার ওই জায়গা দখলে নিয়ে ভবন নির্মাণের জন্য প্রায় ২ লাখ টাকার গাছ কেটে ফেলেন। এ প্রেক্ষিতে গত ৪ঠা সেপ্টেম্বর ইবতেদায়ী মাদরাসার এন্তেজামিয়া কমিটির পক্ষে আবু তাহের, আবুল কালাম ও সামছুল হক বাদী হয়ে লাকসাম উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দাখিল করেন।

অভিযোগের সূত্র ধরে লাকসাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিরোধপূর্ণ ওই জায়গায় স্থাপনা নির্মাণ ও গাছ কর্তন না করার নির্দেশ দিলেও অভিযুক্তরা গাছ কেটে মাদরাসার সীমানা দেয়াল ভেঙ্গে, গাছ কর্তন করে বাড়ি নির্মাণ কাজ শুরু করে। পরে নির্বাহী কর্মকর্তার আদেশে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) উজালা রাণি চাকমা, ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মহসিন মিয়া ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার নির্দেশনা দেন। কিন্তু অভিযুক্তরা প্রশাসনের এ নির্দেশনাও অমান্য করে ওই স্থানে ভবন নির্মাণের উদ্দেশ্যে ইট, কংক্রিটসহ অন্যান্য মালামাল মজুদ করে। গত ১১ই নভেম্বর পূনঃরায় অভিযুক্তরা ওই জায়গার বিভিন্ন প্রজাতির বেশ ক’টি গাছ কেটে ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করে। খবর পেয়ে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা গাছ কাটা ও নির্মাণ কাজ বন্ধ করে সরেজমিন গিয়ে বিরোধপূর্ণ ওই ভূমি পরিমাপ করেন।

অভিযুক্ত আনোয়ার হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তিতে বাড়ি নির্মাণের উদ্দেশ্যে গাছ কেটে কাজ শুরু করি। মাদরাসার জায়গা দখলের বিষয়টি সত্য নয়। তবে মাদরাসার জন্য আমাদের বাপ-চাচাদের দানপত্র মোতাবেক অন্যান্য ওয়ারিশদের সাথে সমহারে আমরাও জমি দিতে রাজি আছি।

পশ্চিমগাঁও ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মহসিন মিয়া জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার আদেশে বিরোধপূর্ণ জমি পরিমাপ করে অভিযোগ নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উভয়কে শান্ত থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার একেএম সাইফুল আলম বলেন, অভিযোগ তদন্ত করে বিধি মোতাবেক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

আরো পড়ুন