মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে কঠোর অবস্থানে হাইওয়ে পুলিশ
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে ঢাকা থেকে আসা অতিপ্রয়েজনীয় ছাড়া বিভিন্ন ব্যক্তিগত যানবাহন আবার আবার যাত্রাপথে ফিরিয়ে দিচ্ছে হাইওয়ে পুলিশ। সারাদেশে করোনার প্রভাব আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেলে সরকার সারাদেশেই লকডাউন ঘোষনা করেন। একজেলা থেকে অন্য জেলায় যাতায়াত কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ শুরু করে। তারউপর আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে সরকার রাজধানী ঢাকা থেকে বের হওয়ার উপর সম্পূর্ণরূপে নিষেধাজ্ঞা জারী করলেও ঘরমুখো মানুষদেও ঠেকানো কোনভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছেনা। এরই অংশ হিসেবে বিভিন্ন মালবাহী যানবাহনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত যানবাহন,অটোরিক্সা,ইজিজবাইক,রিক্সা কিংবা মোটরসাইকেল যোগে সরকারী নির্দেশনা উপেক্ষা করে চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলায় আসার চেষ্টা করছে। এতে করোনার প্রভাব ঠেকাতে ২০ মে বুধবার থেকে মহাসড়কে হাইওয়ে পুলিশ অনেকটা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করে। ফলে ঢাকা থেকে কুমিল্লা অংশ হয়ে চট্টগ্রাম বিভাগের যেকোন গন্তব্যেগামী ব্যক্তিগত যানবাহনসহ যাত্রীবাহী অন্যান্য বাহন অতিপ্রয়োজনীয় না হলে মহাসড়কে বসানো ৫টি চেকপোষ্ট থেকে সেগুলো আটকে দেওয়া হচ্ছে। তবে মালবাহী যানবাহনগুলো যেতে দেয়া হচ্ছে গন্তব্যস্থানে।
হাইওয়ে ময়নামতি ক্রসিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ সাফায়েত হোসেন জানান, দেশের প্রধান জাতীয় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে রয়েছে প্রায় ১’শত কিলোমিটার অংশ। এই মহাসড়ক পথ হয়ে চট্টগ্রাম বিভাগের ১০ টি জেলার বিভিন্ন জনপদে যাতায়াত কওে অসংখ্য মানুষ। আসন্ন ঈুল ফিতরকে সামনে রেখে তাই ঘরমুখো মানুষের চাপ বাড়ছে। এদিকে করোনার প্রভাব ঠেকানে সরকার রাজধানী ঢাকা ছাড়ার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞাজারী করলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহীনির সদস্যরাও কঠোর অবস্থান গ্রহণ করে। এই অংশ হিসেবে কুমিল্লার দাউদকান্দি টোলপ্লাজা, ইলিয়টগঞ্জ, আলেখারচর, মিয়াবাজার ও চৌদ্দগ্রাম এলাকায় চেকপোষ্ট বসিয়েছে হাইওয়ে পুলিশ ।এসব চেকপোষ্টে দিনরাত ২৪ ঘন্টা তল্লাশিসহ পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম চলছে। ঈদের পরও সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
সাফায়েত হোসেন আরো জানান, অন্যান্য বার আমরা ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করি। নিশ্চিত করি তারা যেন নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারে। একই অবস্থা ঈদ পরবর্তি সময়েও। এবার করোনার বিস্তার ঠেকাতে তাদের নিরাপত্তার কথা ভেবে সরকার চাচেছ তারা যনে বাড়ি না ফেরে। কোন উপায়ে যদি কেউ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে অন্য কোন জেলায় যায়-তাহলে সামাজিক ভাবেই এই সংক্রমণ ছড়িয়ে পরবে। ঈদের আনন্দ তখন বিষাদে পরিনত হবে। আমরা চাই না এবার কেউ বিপদে পরুক।
গত মঙ্গলবার থেকেই আসন্ন ঈদ-উল-ফিতরকে সামনে রেখে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বেড়েছে ঘরমুখো মানুষের ভিড়। অনেকেই রাজধানী ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম বিভাগের ১০ টি জেলার বিভিন্ন জায়গায় যেতে এই মহাসড়ককেই ব্যবহার করছে । গণপরিবহন না থাকায় যাত্রীরা ব্যবহার করছে ভাড়ায় চারিত প্রাইভেটকার মাইক্রোবাস। অনেকেই ছুটছেন মোটর সাইকেলে করে। এছাড়া মঙ্গলবার সকাল থেকে যাত্রীরা ঢাকা থেকে পথ ভেঙ্গে অটোরিক্সা ইজিবাইক বা রিক্সা-সিএনজিতে করে গন্তব্যে ছুটছেন। তাদের ঠেকাতেও কঠোর ব্যবস্থার কথা জানিয়েছেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসন।