রেড জোন কুমিল্লার ৪টি ওয়ার্ডে চলছে লকডাউন
করোনাভাইরাসের রেড জোন কুমিল্লা নগরীর ৪টি ওয়ার্ডে চলছে লকডাউন। ৩, ১০, ১২ এবং ১৩নং ওয়ার্ডে স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্যোগে এ লকডাউন কার্যকর করা হচ্ছে।
এতে জনসাধারণের চলাচলে কঠোরভাবে বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। লকডাউনের ফলে জরুরি সেবা ব্যতীত কোনো লোকজন বাসা থেকে বের হতে পারছেন না।
এদিকে নগরীর ৪টি ওয়ার্ড এলাকায় লকডাউনের ফলে জনসাধারণ গৃহবন্দি থাকলেও আশপাশের ওয়ার্ডগুলোতে জনসাধারণ স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে গাদাগাদি করেই চলাচল করছে। একই নগরীতে একপাশে লকডাউন অপরপাশে জনসাধারণের অবাধে চলাচলের ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
অপরদিকে লকডাউন করা এলাকায় বাসা বাড়িতে আবদ্ধ লোকজনের কোনো কিছুর প্রয়োজন হলে হট নাম্বারে কল করলেই মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্যরা ঘরে ঘরে প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে।
জানা গেছে, করোনা ভাইরাসের ব্যাপক বিস্তারের ফলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে কুমিল্লা জেলাকে অঞ্চল ভিত্তিক রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এ জেলায় প্রতিনিয়তই বাড়ছে আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা। এ পর্যন্ত জেলায় ২৬৮১জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছে।
সম্প্রতি কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জেলা সমন্বয় কমিটির একটি সভায় নগরীর ৪টি ওয়ার্ডকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করে লকডাউন করা হয়। গত শুক্রবার থেকে এ লকডাউন চলছে। স্থানীয়দের উদ্যোগে লকডাউন কঠোরভাবে কার্যকর করা হচ্ছে। রেড জোনের চারটি ওয়ার্ড এলাকায় সাধারণ ছুটি কার্যকরে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক লকডাউন এলাকার একাধিক বাসিন্দা জানায়, একই এলাকায় একপাশে মানুষ গৃহবন্দি অপর পাশে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে গাদাগাদি করে চলাচল এটি কেমন নিয়ম?
এমন আংশিক লকডাউনে কোনো ফল পাওয়া যাবে না বলে অভিমত স্থানীয়দের। এ ছাড়া করোনা ভাইরাসের রেড জোনে পুরো জেলাকে লকডাউনের জন্য মত দিয়েছেন কেউ কেউ।
এ বিষয়ে কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. নিয়াতুজ্জামান বলেন, পরীক্ষামূলকভাবে ৪টি ওয়ার্ডকে লকডাউন করা হয়েছে। অবস্থার অবনতি হলে লকডাউনের আওতা বাড়ানো হবে।