বুড়িচংয়ে সাদকপুর মাদ্রাসায় অফিস সহকারী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার পীরযাত্রাপুর ইউনিয়নের সাদকপুর ইসলামিয়া আলিম মাদরাসায় সরকারী বিধি ২০১৮ অনুযায়ী নবসৃষ্ট পদ উপাধ্যক্ষ, সহকারী গ্রন্থাগারিক কাম ক্যাটালগার ও অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগে অনিয়ম মনগড়া প্রার্থী বাছাই ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও সদস্য সচিব মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ ও গভার্নিং বডির সভাপতি মোঃ আবু তাহের (সাবেক চেয়ারম্যান) এর বিরুদ্ধে।
অভিযোগ ভিত্তিতে উক্ত মাদ্রাসায় কুমিল্লার বিজ্ঞ বুড়িচং সহকারী জজ আদালত কারণদর্শানো নোটিশ প্রদান করেছে।অভিযোগ দেওয়ানী নং ১১৮/২০২০ইং।
মাদ্রাসার অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে আবেদনকারী জি.এম কুদরত উল্লাহ্ অভিযোগ করে জানান,জেলার বুড়িচং উপজেলার পীরযাত্রাপুর ইউনিয়নের সাদকপুর ইসলামিয়া আলিম মাদরাসায় সরকারী বিধি ২০১৮ অনুযায়ী নবসৃষ্ট পদ উপাধ্যক্ষ, সহকারী গ্রন্থাগারিক কাম ক্যাটালগার ও অফিস সহকারী-কাম-কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি গত (১০/০৮/২০ইং তারিখ রোজ সোমবার কুুুুমিল্লার একটি স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়। উক্ত বিজ্ঞপ্তি পেয়ে আবেদন করেন জি এম কুদরত উল্লাহ্।তিনি এই মাদ্রাসার গভার্নিং বডি’র বিদ্যোৎসাহী সদস্য মোঃ রেজাউল করিমের পুত্র। জানা যায়,জি এম কুদরত উল্লাহ(রানা) অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার পদে আবেদন করার পর গত ২২ তারিখে কমিটির গোপন সভার সিন্ধান্ত অনুযায়ী এক বেআইনি সিদ্ধান্ত নিয়ে অযোগ্য ঘোষণা করে তাকে বাতিল করা হয়। এ বাতিলের পিছনে অন্য কারণ রয়েছে এবং অবৈধ ভাবে মনগড়া তাদের পছন্দের লোক নিয়োগ করার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকার পরেও তাকে কেন বাতিল করা হয়েছে তা কারণদর্শানো চেয়ে আদালতে একটি অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে আদালত থেকে উক্ত মাদ্রাসায় কারণদর্শানো নোটিশ দিয়ে নিয়োগ স্থগিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোহাম্মদ শহীদ উল্লাহ বলেন,পত্রিকা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হওয়ার ২৪ জন প্রার্থী আবেদন করেন। বাছাই কমিটির সভার মাধ্যমে প্রার্থীদের আবেদন কাগজপত্র বিভিন্ন সমস্যা থাকার কারণে ১০জন প্রার্থীকে বাতিল করা হয়েছে এবং প্রার্থী জিএম কুদরত উল্লাহসহ ১৪ জন প্রার্থীকে ইন্টাভিউ কার্ড নেওয়ার জন্য চিঠি প্রেরণ করি কিন্তু সে চিঠির সাড়া না দিয়ে আদালতে অভিযোগ করেন। আমরা কমিটি সিন্ধান্ত অনুযায়ী ডিজি মহোদয়ের প্রতিনিধি ড.আবুল কালাম আজাদ’কে অবগত করে চালিয়ে যাচ্ছি এবং এ নিয়োগে অনিয়ম করার একক ভাবে আমাদের কোনো ক্ষমতা নেই। তাদের অভিযোগ মিথ্যা।
এ বিষয়ে মাদ্রাসার সভাপতি আলহাজ্ব আবু তাহের জানান,সরকারী বিধি ২০১৮ অনুযায়ী আমরা মাদ্রাসার শূন্য পদে নিয়োগের জন্য পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করি এবং ২৪ জন আবেদন করে। বাছাই কমিটির সভার মাধ্যমে প্রার্থীদের আবেদন কাগজপত্র বিভিন্ন সমস্যা থাকার কারণে ১০জনকে বাতিল করে প্রার্থী জিএম কুদরতসহ ১৪জনকে ইন্টারভিউ কার্ড নেওয়ার জন্য চিঠি পাঠানো হয়। কিন্তু চিঠিতে অন্যরা সাড়া দিলেও সে সাড়া দেয় নাই এবং মাদ্রাসার সাথে কোনো যোগাযোগ না রেখেই আদালতে অভিযোগ করে স্থগিত করে দেয়। তার বাবা মাদ্রাসার বিদ্যোৎসাহী রেজাউল করিম আমাদের মিটিংয়ে উপস্থিত না হয়ে তার পুত্রকে চাকরী সিওর করার জন্য বিভিন্ন মহলের মান্যগণ্য ব্যক্তিবর্গ লোকজনকে দিয়ে সুপারিশ করেন এবং অর্থের মাধ্যমেও লোভ দেখিয়ে যাচ্ছ যা তিনিই সর্বপ্রথম অনিয়ম সৃষ্টি করেন। তা সরকারী নিয়মের বাইরে নিয়োগের ব্যাপারে ডিজি মহোদয়ে সিদ্ধান্ত ছাড়া আমরা কোনো কাজ করি নাই এবং অনিয়ম করা আমাদের একক কোনো ক্ষমতাও নাই।