কুমিল্লা বুড়িচংয়ে স্ত্রীকে জবাই করে হত্যা, ঘাতক স্বামী পলাতক
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার জগতপুর গ্রামে মঙ্গলবার পারিবারিক বিরোধের জের ধরে রিমা আক্তার (২৬) নামের এক সন্তানের জননীকে কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার পর স্বামী রমজান বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্র জানায়, জেলার বুড়িচং উপজেলার সদর ইউনিয়নের জগতপুর গ্রামের লোকমান হাসানের ছেলে রমজান ওরফে সোহাগের সাথে কুমিল্লা নগরীর কাপ্তান বাজার এলাকার জাহাঙ্গীর আলমের কন্যা রিমা আক্তারের পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই রমজান শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করে আসছিল। সম্প্রতি ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে রমজান স্ত্রী সন্তানসহ নিজ গ্রামেই মামার বাড়ি জগতপুর মোল্লা বাড়িতে বেড়াতে আসে। বাড়িতে আসার পর স্বামী, স্ত্রীর বিরোধ চরম আকার ধারন করে। মঙ্গলবার সকালে রমজানের মা রিনা আক্তার, ছোটভাই সাদ্দাম,বোন চাঁদনী, জোস্না, ভগ্নীপতি রায়হান লালমাই-ময়নামতি পাহাড়ের কোটবাড়ি এলাকায় বেড়াতে যায়। এসময় নিহতের মেয়ে তাকিয়া তার বাবা-মাকেও তাদের সাথে বেড়াতে যেতে অনুরোধ করেছিল তবে সে যায়নি।
পুলিশ আরো জানায়, একা বাড়িতে স্বামী-স্ত্রী আবারো বিরোধে জড়িয়ে পড়ে। একসময় স্বামী উত্তেজিত হয়ে ঘরে থাকা বটি দা দিয়ে কুপিয়ে ও গলা কেটে স্ত্রী কে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
বুড়িচং থানার এসআই বাদল জানান, মঙ্গলবার বিকেল পৌনে ৪ টায় একটি মোবাইল ফোন পেয়ে জগতপুর গ্রামের সাধন গাজীর বাড়ি থেকে রিমার লাশ উদ্ধার করে। পরে খবর পেয়ে কুমিল্লা সদর সার্কেল সোহান সরকার, বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক পিপিএম, ওসি (তদন্ত) মাসুদ খান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, লাশ সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এদিকে ঘটনার পর থেকে স্বামী রমজান পলাতক রয়েছে। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও এসময় বন্ধ পাওয়া যায়। উল্লেখ্য রমজান ও রিমার দাম্পত্য জীবনে তাকিয়া আক্তার নামের ৫বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।