কুমিল্লা ইপিজেডের ছাদ ধসে নারী নিহত, আহত তিন
কুমিল্লা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ইপিজেড) একটি কোম্পানির স্টোর রুমের ফলস ছাদ ধসে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন তিনজন। নাসা কোম্পানিতে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত নারীর নাম জ্যোৎস্না বেগম। তিনি ওই কোম্পানির ঝাড়ুদার ছিলেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ইপিজেড পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মোখলেছুর রহমান। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবাশীষ চৌধুরী।
নিহত জ্যোৎস্নার বাড়ি কুমিল্লা নগরীর সুজানগর এলাকায়। তবে স্বামী-সন্তান নিয়ে থাকতেন নগরীর দক্ষিণ চর্থা থিরাপুকুরপাড়।
নিহতের মেয়ে সেলিনা আক্তার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘সকাল সাড়ে ১০টা বাজে আমি আব্বারে লইয়া কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গেছি। আব্বা অসুস্থ। আব্বার পায়ে সমস্যা। হাসপাতালে থাকনের সময় ফোন আইছে। বাইত আইয়া দেহি আম্মার মরদেহ পইড়া রইছে।’
প্রতিবেশীরা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ইপিজেডের লোকজন জ্যোৎস্নার মরদেহ বাড়িতে দিয়ে যায়।
কুমিল্লা ইপিজেডের সিকিউরিটি ইনচার্জ নাজমুল হক বলেন, ‘আহতদের মধ্যে দুজনকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাই। তবে শুনেছি একজন মারা গেছেন।’
দুর্ঘটনার পর নাসা কোম্পানি ছুটি দেয়া হয় বলে জানান নাসা স্পিনার্স অ্যান্ড গার্মেন্টসের সিকিউরিটি ইনচার্জ ফারুক উদ্দিন।
তিনি জানান, সকাল ১০টার দিকে গার্মেন্টসের স্টোর রুমের ফলস ছাদ ভেঙে পড়ে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
কুমিল্লা ইপিজেডের জিএম জিল্লুর রহমান জানান, ‘আমরা নাসার সঙ্গে কথা বলেছি। একটি নির্মাণাধীন দালানের ফলস ছাদ ধসে এ ঘটনা ঘটেছে। নাসা আমাদের বলেছে, ওই নারীর পরিবারকে যাবতীয় ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে।’