কুমিল্লায় রোকেয়া দিবসে জেলার শ্রেষ্ঠ ৫ জয়িতাকে সংবর্ধনা
“নারী নির্যাতন বন্ধ করি, কমলা রঙের বিশ্ব গড়ি” এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে কুমিল্লায় আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস -২০২১ পালিত হয়েছে। “জয়িতা অন্বেষনে বাংলাদেশ” কার্যক্রমের আওতায় জেলা মহিলা বিষয়ক কার্যালয় এর উদ্যোগে ও জেলা প্রশাসনের আয়োজনে কুমিল্লা নবাব ফয়জুন্নেছা সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় অডিটোরিয়ামে , আলোচনা সভা ও জয়িতাদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
গতকাল জেলা মহিলা বিষয়ক কার্যালয়ের উপ -পরিচালক কানিজ তাজিয়ার সভাপতিত্বে, আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক -শিক্ষা ও আইসিটি নাজমা আশরাফী। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছিলেন আদর্শ সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট হোসনে আরা বেগম বকুল,মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর কুমিল্লার সাবেক উপ-পরিচালক সেলিনা আক্তার, ফয়জুন্নেসা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রোকসানা ফেরদৌসী মজুমদার। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জুবাইদা নুর খান সঞ্চালনায় এ সময় অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী জয়ীতা ইয়াসমিন আক্তার, শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী জয়িতা সুমাইয়া আফরিন সামি,সফল জননী নারী আমেনা বেগম ও আমার উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন যে নারী জয়িতা আমিন নার্গিস।
আলোচনা সভা শেষে বেগম রোকেয়া দিবসে উপজেলা পর্যায়ে বিজয়ী শ্রেষ্ঠ ৫ জয়িতা অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী জয়ীতা ইয়াসমিন আক্তার, শিক্ষা ও চাকুরী ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করেন নারী তাহমিনা আক্তার, সফল জননী নারী সাহেরা খাতুন, বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যোমে জীবন শুরু করেছেন যে নারী মিনা আক্তার,সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন যে নারী নাসিমা বেগম কে সংবর্ধনা দেয়া হয়।
এছাড়া পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ ৫ অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী ইয়াসমিন আক্তার,, শিক্ষা ও চাকুরী ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী সুমাইয়া আফরীন সামি,সফল জননী নারী আমেনা বেগম, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যোমে জীবন শুরু করেছেন যে নারী বেগম ও সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন যে নারী আমিন নার্গিস কে সংবর্ধনা ও ক্রেষ্ট প্রদান করা হয়।
এবছর সফল জননী নারী হিসাবে জয়িতা পুরস্কার অর্জন করেছেন চান্দিনার আমেনা বেগম। তিনি তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, তার স্বামীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে চাকরি জীবন শুরু করেন, বিয়ের পর বাবার বাড়িতেই ছিলেন ৭/৮ বছর পরে সন্তানদের নিয়ে শ্বশুরবাড়ি চলে আসেন।শিক্ষকতার পাশাপাশি কৃষি কাজে মনোনিবেশ করেন তার স্বামী। সংসারের পাশাপাশি কৃষিকাজেও স্বামীকে সহযোগিতা করতেন এ মহীয়সী নারী। চার ছেলের মধ্যে প্রথমজন মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল, তিনি ডেপুটি পোস্টমাস্টার জেনারেল হিসেবে রাঙ্গামাটিতে কর্মরত আছেন তিনি ২৪ তম বিসিএস (ডাক)এর একজন কর্মকর্তা, দ্বিতীয় সন্তান মোসাম্মৎ দিলরুবা আক্তার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত, তার তৃতীয় সন্তান ডক্টর আবুল হাসনাত যুগ্ম-মহানগর দায়রা জজ চট্টগ্রাম বর্তমানে পদোন্নতি প্রাপ্ত অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ হিসাবে কর্মরত রয়েছেন ও বরিষ্ঠ সন্তান নুরুল ইসলাম সহকারী পরিচালক দুর্নীতি দমন কমিশন চট্টগ্রামে কর্মরত রয়েছেন।