কুমিল্লায় ছেলেকে অপহরণের পর হত্যা করল সৎবাবা
কুমিল্লার সদর উপজেলার গলিয়ারা দক্ষিণ ইউনিয়নের ধনাজোড় এলাকায় অপহরণের তিনদিন পর এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৮ এপ্রিল) সকালে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবাশীষ চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে রোববার রাত ৯টার দিকে ওই এলাকায় একটি ফসলি জমি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত শিশু বাপ্পি উপজেলার পশ্চিম জোড়কানন ইউনিয়নের তারাপুর গ্রামের জালাল উদ্দিনের মেয়ে রুমা আক্তারের প্রথম স্বামীর ছেলে।
নিহতের নানা জালাল উদ্দিন জানান, বাপ্পি তার মেয়ে রুমা আক্তারের প্রথম সংসারের ছেলে। পরবর্তীতে তার গলিয়ারা দক্ষিণ ইউনিয়নের ধনাজোড় গ্রামের রুবেলের সঙ্গে বিয়ে হয়। তবে বাপ্পি জন্মের পর থেকেই তাদের (জালাল উদ্দিন) বাড়িতে থাকতো।
তিনি জানান, শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) বাপ্পির সৎ বাবা রুবেল তাকে সাইকেল চালানোর প্রলোভন দেখিয়ে কৌশলে অপহরণ করে। পরে হত্যা করে ফসলি জমিতে ফেলে দেন।
বাপ্পির মামা আল আমিন বলেন, বাপ্পি নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে রুবেল আমাদের সঙ্গেই ছিল। শনিবার সকালে থানায় নিখোঁজের সাধারণ ডায়েরি করি। বাড়ির পাশে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে আমাদের রুবেলকে সন্দেহ হয়। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে বাপ্পির সন্ধান দেয়। আমরা তার দেওয়া তথ্য মতো স্থানে গিয়ে দেখি, আমার ভাগ্নের চোখ তুলে ঘাড় ভেঙে মেরে ফেলছে। এ সময় রুবেল পালিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির পর রুবেলের তথ্যানুযায়ী ধনাজোড় ফসলি জমিতে বাপ্পির মরদেহ মেলে। পরে বিষয়টি সদর দক্ষিণ মডেল থানা পুলিশকে অবগত করা হলে রাত ৯টার দিকে তারা মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনার পর থেকে রুবেল পলাতক রয়েছেন।
সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবাশীষ চৌধুরী জানান, এ ঘটনার সংবাদ পেয়ে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
তিনি আরও জানান, সোমবার (১৮ এপ্রিল) সকালে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে। অভিযুক্ত রুবেলকে আটক করতে পুলিশি অভিযান চলমান রয়েছে।
সূত্রঃ আরটিভি