কুমিল্লা সিটি: ১০৫ কেন্দ্রের ৮৯টিই অধিক ঝুঁকিপূর্ণ
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (কুসিক) ভোট শান্তিপূর্ণভাবে শেষ করতে স্থানীয় প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন থেকে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। এরই মধ্যে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কুসিকের দুই উপজেলার ২৭টি ওয়ার্ডের ১০৫টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৮৯টিই অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্দিষ্ট সংখ্যক সদস্য মোতায়েন থাকবে প্রতিটি কেন্দ্রে। এছাড়া কেন্দ্রের বাইরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল ও ভ্রাম্যমাণ আদালত থাকবে। সবমিলিয়ে ভোটের দিন নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে পুরো নগরী।
জেলা পুলিশ সুপারের বিশেষ শাখা (ডিএসবি) থেকে শনিবার দুপুরে সমকালকে এসব তথ্য জানানো হয়। সূত্রটি আরও জানায়, ৬ হাজারেরও বেশি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য মোতায়েন থাকবে। নগরীর প্রতিটি প্রবেশপথ ও গুরুত্বপূর্ণ সড়কে থাকবে চেক পোস্ট।
১৫ জুন সদর ও দক্ষিণ উপজেলার ২৭টি ওয়ার্ডের সব কেন্দ্রে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ হবে। ১০৫ ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৮৯টি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ, সাতটি কম ঝুঁকিপূর্ণ এবং ৯টি সাধারণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) এম তানভীর আহমেদ বলেন, সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। জেলা পুলিশের বাইরেও আশপাশের জেলা থেকে আনা হচ্ছে বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য। ভোটের দিন রাস্তায় থাকবে আরমোরেড পারসোনাল ক্যারিয়ার (এপিসি) ও জলকামান গাড়ি। পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি টহল দিচ্ছে।
র্যাব-১১, সিপিসি-২ কুমিল্লার অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন বলেন, র্যা বের অন্তত ২৭টিম কাজ করবে। প্রয়োজনে এ সংখ্যা আরও বাড়ানো হতে পারে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, আশা করি ভোট হবে অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রতিটি কেন্দ্রে কঠোর নিরাপত্তা থাকবে।
রিটার্নিং অফিসার শাহেদুন্নবী চৌধুরী বলেন, নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে স্থানীয় প্রশাসন সব দিক থেকে সহায়তা দিচ্ছে। আমরা নির্বাচন কমিশন থেকেও বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি। সুষ্ঠু ভোট নিয়ে প্রার্থী ও ভোটারদের শঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ দেখছি না। আশা করি, ভোটের পরিবেশ ভালো থাকবে।