‘কুমিল্লার মানুষরা মিষ্টি, তাই এখানকার রসমালাইও মিষ্টি’

শৈশবের স্মৃতিচারণ করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, কুমিল্লায় আমাদের অনেক মধুর স্মৃতি রয়েছে। ছোট থাকার কারণে খুব বেশি মনে নাই তখনকার কথা। তবে কুমিল্লার মিষ্টির কথা মনে আছে। রসমালাই এখানের একটা বিখ্যাত মিষ্টি। কুমিল্লার মানুষেরাও মিষ্টি আর তাই এখানের মিষ্টিও খুব মিষ্টি হয়৷

বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আয়োজিত চিকিৎসক-শিক্ষকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

জাহিদ মালেক বলেন, কুমিল্লায় আমার অনেক স্মৃতি। আমার বাবা সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। উনার কর্মজীবন এই কুমিল্লার ময়নামতি ক্যান্টনমেন্ট থেকেই শুরু হয়েছিল। এজন্য আমাদের একটা টান রয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা খুব আনন্দিত যে অনেক দিন পরে অর্থাৎ প্রায় দুই থেকে আড়াই বছর পরে আমরা বের হতে পেরেছি। কাজের কারণে বিদেশে হয়তো গিয়েছি তবে এর বেশি নিজের এলাকা ছাড়া আর কোথাও যাওয়া হয় নাই। কোভিডের কারণেই কোথাও বাইরে যাওয়া হয় নাই।

তিনি আরও বলেন, আমাদের উন্নয়নের যাত্রা শুরু হয়েছে। আজকে সশরীরে হাসপাতাল, মেডিক্যাল কলেজগুলো দেখা আমরা শুরু করেছি। আনন্দের সঙ্গেই বলি যে আমরা এই যাত্রা শুরু করেছি কুমিল্লা দিয়েই। এটা অবশ্য ডিজি (স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক) ম্যানেজ করেছে। তিনি ম্যানেজ করেন খুব ভালো।

বিরোধীরা কিছু না বুঝেই সবসময় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সমালোচনায় মুখর থাকে বলে উল্লেখ করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তিনি বলেন, প্রতিনিয়তই আমাদের কতো কথা শুনতে হয়। সংসদে গেলেই এসব আলোচনা শুরু হয়। বিশেষ করে আমাদের দলের লোকেরাও আমাকে ছাড় দেননি, করোনার সময় তারাও অনেক কিছুই বলেছেন।

তিনি আরও বলেন, দেশে চিকিৎসা হয় না, হাসপাতাল চলে না, সব মানুষ ভারতে চলে যাচ্ছে… মানুষের কতো সমালোচনা। কিছু গেছেন তো কী হয়েছে? সব মানুষ কি ভারতে চলে গেছেন? দুই চার হাজার হয়তো গেছেন, বাকি লোকজন তো আমার দেশেই চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন।

আমাদের হাসপাতালগুলোতে কোন সিমুলেটর ছিল না, আমরা অর্ডার দিয়েছি। বর্তমানে আটটি হাসপাতালে আছে। কুমিল্লায় নেই, শিগগিরই তারা একটি পাবে।— উল্লেখ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য বিভাগের সচিব ড. মো. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক একেএম আমিুরুল মোর্শেদসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন