কুমিল্লার মঞ্চেও খালেদা জিয়া ও তারেকের সম্মানে চেয়ার ফাঁকা
কুমিল্লায় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ মঞ্চে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সম্মানে দুটি ফাঁকা চেয়ার রাখা হয়েছে। মঞ্চের ঠিক মাঝখানে দুটি ফাঁকা চেয়ার দেখা যায়। চেয়ারের ওপর খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি রাখা হয়েছে। এর আগে চট্টগ্রাম, খুলনা ও ময়মনসিংহ, বরিশালও গণসমাবেশেও এমনটা করা হয়েছিল।
আজ শনিবার বেলা ১১টায় কোরআন তেলওয়াতের মাধ্যমে ঐতিহাসিক টাউন হল মাঠে এই সমাবেশ শুরু হয়েছে। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য দেবেন দুপুর ২টার পর থেকে।
গণসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, প্রধান বক্তা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, বিশেষ অতিথি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু।
সমাবেশ সঞ্চালনা করবেন কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব ইউসুফ মোল্লা টিপু, কুমিল্লা উত্তর বিএনপি সদস্যসচিব এ এফ এম তারেক মুন্সি ও কুমিল্লা দক্ষিণ বিএনপি সদস্যসচিব মো. জসিম উদ্দিন। এতে সভাপতিত্ব করবেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুর রশিদ ইয়াসিন।
জানা গেছে, নির্ধারিত সময়ের কয়েক ঘণ্টা আগেই কুমিল্লার টাউন হল মাঠ পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের স্লোগানে মুখরিত সমাবেশস্থল। শনিবার সকালে টাউন হল মাঠে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।
এদিকে সমাবেশকে কেন্দ্র করে কয়েকদিন আগে থেকেই টাউনহল মাঠে আসতে শুরু করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। বাকিরা শনিবার ভোর থেকেই মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেন। মাঠে জায়গা না পেয়ে সড়কেও অবস্থান নিয়েছেন অনেকে। এ ছাড়া মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় সকালেই নতুন করে কোনো মিছিল টাউন হল মাঠে প্রবেশ করতে পারছেন না। উপস্থিত নেতাকর্মীরা যার যার অবস্থানে থেকেই স্লোগান দিচ্ছেন। কান্দিরপাড় পূবালী চত্বর, লিবার্টি মোড়, রামঘাটলায় অবস্থান নিচ্ছেন নেতাকর্মীরা।
গণসমাবেশ উপলক্ষে টাউন হল এলাকায় ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড, পোস্টারে সয়লাব হয়ে গেছে। যে যার মতো ব্যানার, ফেস্টুন লাগিয়েছেন। দোকানপাট, ভবন ব্যানারে ছেয়ে গেছে। শনিবার সকালে কুমিল্লা টমসম ব্রিজ থেকে সমাবেশস্থল টাউন হল মাঠ পর্যন্ত ২ কিলোমিটার লম্বা এক মিছিল দেখা গেছে। মিছিলে কুমিল্লার দক্ষিণ জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
এদিকে কুমিল্লার গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে নগরের কান্দিরপাড়ে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। টাউন হল মাঠ ছোট হওয়ার কারণে সড়কে লোকের সংখ্যা মাঠের চেয়ে বেশি। মাইক লাগানো হয়েছে সমাবেশস্থল থেকে বহু দূরের সড়কেও।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া বলেন, ইতিমধ্যে কুমিল্লায় এসে পৌঁছেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাসসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
জ্বালানি তেলসহ নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি, দলের পাঁচ নেতাকে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি বিভাগীয় পর্যায়ে ধারাবাহিকভাবে এ গণসমাবেশ করছে। এর আগে গত ১২ অক্টোবর চট্টগ্রামে প্রথম গণসমাবেশ হয়। পরে ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর, বরিশাল, ফরিদপুর ও সিলেটে সমাবেশ হয়। আগামী ৩ ডিসেম্বর রাজশাহী ও ঢাকায় ১০ ডিসেম্বর গণসমাবেশ হবে।