অসৎ উপায়ে এক টাকাও উপার্জন করিনি: ওয়াসার এমডি
আমি যা আয় করি তা সম্পূর্ণ সৎভাবে উপার্জন করি, যার একটি টাকাও আমার অবৈধ নয়। এই আয় দিয়ে আমার যেভাবে চলা যায় সেভাবেই আমি চলি বলেছেন ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খান। মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) কারওয়ান বাজার ওয়াসা ভবনের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
ওয়াসা এমডি বলেন, ‘আমার যে বেতন তা সবার কাছেই ওপেন একটি বিষয়। এখানে লুকোচুরির কিছু নেই। এই বেতন ছাড়া আমার আয়ের আর কোনো পথ নেই। আমি যা আয় করি তা সম্পূর্ণ সৎভাবে উপার্জন করি, যার একটি টাকাও আমার অবৈধ নয়। এই আয় দিয়ে আমার যেভাবে চলা যায় সেভাবেই আমি চলি। আমার স্ত্রী, সন্তানরা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক এবং সেখানে ওয়েল স্টাবলিস্ড। তাদের জন্য টাকা পাঠানো দরকার হয় না।’
যুক্তরাষ্ট্রে তার কেনা কোনো বাড়ি নেই দাবি করে ওয়াসা এমডি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে ১৪টি বাড়ির ডাহা মিথ্যা একটি প্রতিবেদন ছাপানো হলো। সেখানে আমার স্ত্রী ও একমাত্র সন্তান তারা দুজনেই ওয়েল (ভালো) জব করে। তারা সেখানে চমৎকারভাবে প্রতিষ্ঠিত। তাই তাদের কাছে টাকা পাঠানোর কোনো দরকার নেই। আমার টাকারও তাদের কোনো প্রয়োজন নেই। বরং আমার যদি প্রয়োজন হয় তাহলে তারাই আমাকে মাঝে-মধ্যে টাকা পাঠান। এখন যারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাকে হেয় করার জন্য যে ডাহা মিথ্যা প্রতিবেদন করলো, এর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’
ওয়াসা এমডি বলেন, ‘যে ১৪টি বাড়ির কথা বলা হয়েছে তার মধ্যে ৫টি বাড়িতে আমার পরিবার সেখানে বিভিন্ন সময় ভাড়া থেকেছেন। আর একটি বাড়ি আমার স্ত্রীর নামে। আমি, আমার স্ত্রী, সন্তান সবাই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।’