কুমিল্লার বাজারে নানান দেশের খেজুর
রমজান উপলক্ষে দেশের অন্যান্য স্থানের মতো কুমিল্লার বাজারেও খেজুরের চাহিদা বেড়েছে। রমজান মাসে দেশের বাজারে খেজুরের চাহিদা মেটাচ্ছে সৌদি আরব, পাকিস্তান, ইরাক, ইরান, আলজেরিয়া, আরব আমিরাত। এসব দেশ থেকে খেজুর আমদানির করা হয় বলে বড় বড় আড়তদাররা জানান।
কুমিল্লার বাজারে রমজান মাস উপলক্ষে বিভিন্ন ধরনের খেজুর রয়েছে। খেজুরের মান ভেদে দামে বিভিন্নতা থাকে।
রাজগঞ্জ, চকবাজার, তেরিপট্টি, রানীর বাজার, বাদশা মিয়ার বাজার, নিউ মার্কেট, বালুতুপাসহ বেশ কয়েকটি বাজারের খেজুরের দোকান ঘুরে দেখা যায় রোজাকে কেন্দ্র করে সহনীয় দামে খেজুর বিক্রি হচ্ছে বলে দোকানদাররা জানিয়েছেন।
তবে বিক্রেতারা এটাও বলছেন, বৈশ্বিক জ্বালানি তেলসহ বিভিন্ন জিনিষের দাম বৃদ্ধির কারণে খেজুরের দাম গতবারের চেয়ে সামান্য বেশি।
সরেজমিনে বাজার ঘুরে জানা যায়, বাজারে খোলা বস্তার খেজুর ১৩০ টাকা থেকে প্রকার ভেদে ১৫০ টাকা দরে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে। সায়ের খেজুর প্রতি কেজি ১৮০ টাকা থেকে ২২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বারাবি খেজুর বাজারে ৩ ধরনের কার্টনে পাওয়া যায়। বারাবি ১৯০ টাকা, ২৮০ টাকা ও ৩৫০ টাকা দরে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে। জরবি বড়ই প্রতি কেজি ৩৪০ টাকা থেকে ৩৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লুলু প্রতি কেজি প্রকার ভেদে ৩৪০ টাকা থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আলজেরিয়ার খেজুর ফরিদা ৪৩০ টাকা থেকে প্রকার ভেদে প্রতি কেজি ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নাগাল খেজুর প্রতি কেজি ২৮০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকায় প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে। মরিয়ম প্রতি কেজি ৮০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে সবচেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে দাবাস খেজেুরের এই খেজুরটি প্রতি কেজি ৩৩০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এক কেজি ওজনের প্যাকেট প্রতি কেজি খেজুরের মান ভেদে বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা দরে। ৫০০ গ্রামের প্রতি প্যাকেট খেজুরের মান ভেদে বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা থেকে ২৮০ টাকা দরে। ক্যাটবেরি নামের একটি খেজুর বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা দরে। চিপস নামের আধাকেজি ওজনের খেজুর বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা থেকে ৩০০ টাকায়। কাস খেজুর প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা দরে। আজোয়া প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকা থেকে প্রকার ভেদে ৮০০ টাকা।
কুমিল্লার চকবাজারের খেজুরের দোকান মামুন সোটারের মামনুন জানান,পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ার কারণে এবার খেজুরের দাম গতবারের চেয়ে একটু বেশি।
তেরিপট্টি খেজুরের সবচেয়ে বড় ব্যবসায়ী হাসান হাবিব বলেন, এখানে সবচেয়ে বেশি খেজুর আমি আনি এবার দাম বেশি। তাই বেশি দামে বিক্রি করি। গত রোজায় দাম কম ছিল। তাই কম দামে বিক্রি করছি।
খেজুর কিনতে আসা মো. হেলাল মিয়া,মনির মিয়া এবং ফয়সাল বলেন, খেজুর দিয়ে ইফতার করা সুন্নত। রমজান আসলে সবাই খেজুর দিয়ে প্রথমে ইফতার করেন। যদিও গতবারের রমজানের তুলনায় এবার খেজুরের দামটা একটু বেশি।
কুমিল্লা চকবাজার ব্যাবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মো. পারভেজ বলেন, আমরা বাজার কমিটি প্রতিদিন বাজারের ব্যাবসায়ীদেরকে হ্যান্ড মাইক দিয়ে মূল্যতালিকা প্রদর্শন করার জন্য এবং অতিরিক্ত দাম না রাখার জন্য সচেতন ও তদারকি করছি।
কুমিল্লা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. আছাদুল ইসলাম বলেন, আমরা জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটসহ গতকাল ও বাজার মনিটরিং করেছি। কোনো ব্যবসায়ী দাম বেশি রাখে কিনা, খাওয়ার অনুপযোগী দ্রব্য সামগ্রী বিক্রি করলে জরিমানা করি। প্রতিদিনই আমরা কুমিল্লার প্রতিটি বাজার একেক এক দিন পর্যবেক্ষণ করি।