কুমিল্লার ঠিকাদার কামালের অবৈধ সম্পদ খুঁজছে দুদক
প্রায় নয় কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে কুমিল্লায় ঠিকাদার মো. কামাল হোসেনের নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গত ১১ বছরে তিনি এসব সম্পদ গড়েছেন বলে অভিযোগ করেছে দুদক।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) দুদকের কুমিল্লা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক পাপন কুমার সাহা বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। দুদক কুমিল্লার উপ-পরিচালক ফজলুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মো. কামাল হোসেন ২০০৭ সালে ঠিকাদারি ব্যবসা শুরু করেন। দুদকের অনুসন্ধানে তার নিজ নামে স্থাবর ও অস্থাবর মিলিয়ে ১৫ কোটি ১৭ লাখ ৮৯ হাজার ২৫৫ টাকার সম্পদের মালিকানার তথ্য পাওয়া যায়। অনুসন্ধানে তার পারিবারিক ব্যয়, পরিশোধিত কর ও অপরিশোধিত দায়সহ ১৭ কোটি ১৩ লাখ ৯৯ হাজার ২৬ টাকার নিট সম্পদ পাওয়া যায়। এর মধ্যে আট কোটি ২০ লাখ ২১ হাজার ৮০ টাকার সম্পদের বৈধ উৎস পাওয়া গেছে। আর আট কোটি ৯৩ লাখ ৭৭ হাজার ৯৪৬ টাকার সম্পদের কোনো বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি। যা দুদকের অনুসন্ধানে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ বলে জানা গেছে।
=> আরো পড়ুনঃ কুমিল্লায় পাসপোর্টের দালাল কামালের আছে আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপ!
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, কুমিল্লার আদর্শ উপজেলায় তার নামে ১০ তলায় দুটি ফ্লোর ও ছয়তলা ভবন, কুমিল্লা সদরসহ বিভিন্ন জায়গায় ৫০০ শতাংশ জমি, টয়োটা হ্যারিয়ার গাড়ি এবং ব্যাংকে গচ্ছিত আট কোটি টাকার বেশি অস্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। মাত্র ১১ বছরে এসব সম্পদের মালিক হয়েছেন তিনি। যে কারণে তার নামে দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ঠিকাদার মো. কামাল হোসেন বলেন, আমি মামলার বিষয়টি শুনেছি। এ বিষয়ে বিস্তারিত জেনে কথা বলব।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মো. কামাল হোসেন নিজেকে এলজিআরডি মন্ত্রীর উন্নয়ন সমন্বয়কারী হিসেবে পরিচয় দেন। কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার লক্ষণপুর গ্রামের নুর মোহাম্মদের ছেলে তিনি। বাবা কৃষিকাজ করতেন। এক সময় মো. কামাল হোসেন কুমিল্লায় পাসপোর্ট অফিসে দালালি করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ২০০৭ সালে ঠিকাদারি শুরু করেন। কয়েক বছর পর এলজিআরডি মন্ত্রীর উন্নয়ন সমন্বয়কারী হিসেবে পরিচয় দিয়ে একের পর এক সম্পদের পাহাড় গড়েন।