কুমিল্লার ৪ পুলিশ সদস্য পেলেন বিপিএম-পিপিএম
ডেস্ক রিপোর্টঃ কুমিল্লা জেলা ও হাইওয়ে পুলিশের ৩ কর্মকর্তা ও একজন কনস্টেবল বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম) ও প্রেসিডেন্ট পুলিশ পদক (পিপিএম) পেয়েছেন।
পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে সোমবার রাজারবাগ প্যারেড গ্রাউন্ডে তাদের হাতে এ পদক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দক্ষতা, সততা, সাহসিকতা ও পেশাদারীত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর-এ সার্কেল) তানভীর সালেহীন ইমন, কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের ওসি মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া ও হাইওয়ে পুলিশের ইলিয়টগঞ্জ ফাঁড়ির সার্জেন্ট মোস্তফা কামাল পিপিএম পদক লাভ করেন।
এছাড়া হাইওয়ে পুলিশের দাউদকান্দি থানা পুলিশের কনস্টেবল পারভেজ মিয়া বিপিএম পদক পেয়েছেন। সূত্র জানায়, অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার, সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারসহ অনেক চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটনের জন্য পুলিশ কর্মকর্তা তানভীর সালেহীন ইমন ও মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া পিপিএম পদক লাভ করেন।
তানভীর সালেহীন ইমন গত বছর আইজিপি ব্যাজ লাভ করেন। তিনি কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার আয়লা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ইকবাল এবং মর্জিনা আক্তারের ছেলে এবং ওসি মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া শরিয়তপুরের নড়িয়া উপজেলা সদরের নড়িয়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা মো. শাহেদ আলী মিয়া ও মোসা. ছায়েদা বেগমের ছোট ছেলে।
অপর দিকে গত বছরের ৭ মার্চ চান্দিনার তীরচর এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে তল্লাশিকালে হাইওয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে পালিয়ে যাওয়ার সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পার্শ্ববর্তী খাদঘর এলাকা থেকে দুই জেএমবি সদস্য আটক করেন হাইওয়ে পুলিশের দাউদকান্দির ইলিয়টগঞ্জ ফাঁড়ির সার্জেন্ট ও টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার সন্তান মোস্তফা কামাল পিপিএম পদক লাভ করেন।
চান্দিনায় সার্জেন্ট মোস্তফা কামালের ওই সাহসী অভিযানের সময় উদ্ধারকৃত মোবাইলের সূত্র ধরে পরে চট্টগ্রামের মীরসরাই জঙ্গি আস্তানা থেকে ২৯টি গ্রেনেড উদ্ধারসহ সিলেটের আতিয়া মহলে অভিযান চালিয়ে জঙ্গি নেটওয়ার্ক সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ অনেক তথ্য পায় আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাসমূহ।
এছাড়াও একই বছরের ৭ জুলাই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দাউদকান্দির গৌরিপুর এলাকায় দুর্ঘটনা কবলিত বাসের ৩৪ জন যাত্রীর প্রাণ রক্ষা করার জন্য মুন্সীগঞ্জের সন্তান হাইওয়ে পুলিশের কনস্টেবল পারভেজ মিয়া বিপিএম পদক লাভ করেছেন। বর্তমানে পারভেজ হাইওয়ে পুলিশের ঢাকাস্থ হেডকোয়ার্টারে কর্মরত রয়েছেন।