কুমিল্লা বুড়িচংয়ে আ’লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও ভাংচুর
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার বাকশীমূল ইউনিয়ন পরিষদের সদ্যপ্রয়াত আলহাজ মোস্তফা মাস্টার চেয়ারম্যানের মৃত্যুতে যুবলীগের উদ্যোগে প্রস্তুতি শোক সভা শুক্রবার বিকেলে ইউনিয়ন পরিষদে অনুষ্ঠিত হয় । উক্ত শোক সভা’কে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয় এবং ৭-৮ জন আহত ও পরিষদের বিভিন্ন সরঞ্জাম ভাংচুরের খবর পাওয়া যায়।
ঘটনার বিস্তারিত জানা যায়, কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার বাকশীমূল ইউনিয়ন পরিষদের সদ্যপ্রয়াত আলহাজ মোস্তফা মাস্টার চেয়ারম্যানের মৃত্যুতে যুবলীগের উদ্যোগে প্রস্তুতিমূলক শোক সভায় আলোচনা চলাকালিন উপস্থিত আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় হাতাহাতি, ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন স্বপন এর দলের কর্মীরা উক্ত প্রস্তুতি শোক সভায় উপস্থিত ছিলেন ।
আয়োজিত শোক সভাতে উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতা মো: হিমেল খান, আশিক খান ও পরিষদের সদস্য ফারুক খান মেম্বারের নেতৃত্বে কিছু সংখ্যক ছাত্রলীগ, যুবলীগ কর্মীরা উক্ত শোক সভায় উপস্থিত হয়। পরে সাজ্জাদ চেয়ারম্যানের দলীয় কর্মী হাজী আব্দুর রশিদ, সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হক মাস্টার, করিম মেম্বার, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লিটন রেজা ও জয়নাল হোসেন শামীমের সাথে শোক সভায় দাওয়াত না দেওয়াতে মো: হিমেল খান, আশিক খান, ফারুক খানের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয় । এর মধ্যে পরিষদের চেয়ার, অন্যান্য সরঞ্জাম ভাংচুর হয় এসময় উভয় পক্ষের ৭-৮ জন আহত হয় । বড় ধরনের ঘটনা ঘটার আগে বুড়িচং থানার ওসি মনোজ কুমার দে ও সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
পরে উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন স্বপন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে হুশিয়ারী বার্তা দিয়ে বলেন, এই রকম ঘটনা যদি পরবর্তীতে দেখি তাহলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না । পরিশেষে তিনি বলেন, আগামী ২৭ জানুয়ারী শনিবার কালিকাপুর আব্দুল মতিন খসরু ডিগ্রি কলেজ মাঠে যুবলীগের উদ্যোগে স্বর্বস্তরের লোকজনকে নিয়ে এই শোক সভা আয়োজন করা হবে । আয়োজিত শোক সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংসদ ও সাবেক আইন বিষয়ক মন্ত্রী এডভোকেট আব্দুল মতিন খসরুসহ উধ্বর্তন নেতৃবৃন্দ। পরিশেষে, জয়নাল হোসেন শামীমের নেতৃত্বে কালিকাপুর বাজার প্রধান প্রধান সড়কে এই ঘটনার প্রতিবাদের মিছিল বের করা হয়। তবে স্থানীয় কিছু লোকের ধারণা আগামীতে এর চেয়েও বড় ধরনের সংঘর্ষ হতে পারে বলে মনে করেন।
এই ঘটনার সাথে জড়িত কিছু ব্যক্তিদের নামের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন বলে থানার অফিসার ইনচার্জ মনোজ কুমার দে সাংবাদিকদের জানান।