ভারতের দিকে ১৩০টি পারমাণবিক অস্ত্র তাক করা আছে: পাক রেলমন্ত্রী

ভারত শাসিত জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার পর পাকিস্তান ও ভারতের উত্তেজনা এখন তুঙ্গে। দুই দেশই সীমান্তে বাড়াচ্ছে ব্যাপক সামরিক উপস্থিতি। একাধিকবার পাল্টাপাল্টি গোলাগুলির ঘটনাও ঘটেছে। এমন পরিস্থিতিতে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের রেলমন্ত্রী হানিফ আব্বাসী।

ভারতকে ঘায়েল করতে তার দেশ পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম শাহীন ও গজনবীর মতো ক্ষেপণাস্ত্রসহ ১৩০টি ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত করে রেখেছে বলে জানান তিনি। হানিফ আব্বাসী বলেন, ‘শাহীন ও গজনবী ক্ষেপণাস্ত্রগুলো এমনি এমনি তৈরি করা হয়নি। সেগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে ভারতের জন্য। আমাদের বিভিন্ন ঘাঁটিতে এগুলো মোতায়েন রয়েছে।’

টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারত থেকে পাকিস্তানি দূতাবাসের সামরিক কর্মকর্তাদের বহিষ্কারের মাধ্যমে দেশটির বিরুদ্ধে কূটনৈতিক ব্যবস্থা নেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানের রেলমন্ত্রী এমন মন্তব্য করেছেন।

ভারতকে উদ্দেশ্য করে হানিফ আব্বাসী বলেন, ‘এসব ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র শোকেসে নেই, এগুলো তোমাদের দিকেই তাক করে রাখা হয়েছে, আর কারো দিকে নয়।’ তিনি আরও বলেন, ভারত জানে যে পাকিস্তান কোথায় ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছে এবং এ কারণেই তারা পাকিস্তানে আক্রমণের সাহস পায়নি।

যদি ভারত সিন্ধু চুক্তি ভঙ্গ করে পাকিস্তানের নদীগুলোতে পানির প্রবাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে তবে ‘পূর্ণমাত্রার যুদ্ধের’ জন্য পাকিস্তান প্রস্তুত বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আপনারা আমাদের পানি বন্ধ করবেন, আমরা আপনাদের নিশ্বাস বন্ধ করে দিবো।’

পাকিস্তানকে দোষারোপের বিষয়ে ভারতের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, ‘এজেন্সিগুলোকে জবাবদিহি করার পরিবর্তে ভারত অন্য দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। প্রথমে, আমাদের দিকে আঙুল তোলার আগে নিজেকে জবাবদিহি করুন। ওই ছোট জায়গার মধ্যে আট লাখ নিরাপত্তা সদস্য রয়েছে। এত সেনার উপস্থিতিতে কীভাবে ঘটল পেহেলগামের ঘটনা?’

প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলায় ২৬ জন নিহত হন। হামলায় পাকিস্তানের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ এনে ১৯৬০ সালের সিন্ধু চুক্তি স্থগিতের পাশাপাশি পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা প্রত্যাহার করে ভারত। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে নিজেদের আকাশসীমা ভারতের জন্য বন্ধসহ বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তানও।

আরো পড়ুন