আর একটি পাথর সরালে জীবন ঝালাপালা করে দেব: সারওয়ার আলম

‘আর একটি পাথরও যদি সরানো হয়, জীবন অতিষ্ঠ করে দেব। বাংলাদেশ সীমান্তের যেখানেই পাথর সরানোর চেষ্টা হবে, সেখান থেকেই অপরাধীদের ধরে আনা হবে।’ বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) বিকেলে সাদাপাথর এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এভাবে পাথরখেকোদের হুশিয়ারি দেন সদ্য নিয়োগ পাওয়া জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. সারওয়ার আলম।
এ সময় সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্র খুব শিগগিরই আগের সৌন্দর্যে ফিরবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন মো. সারওয়ার আলম। তিনি জানিয়েছেন, পাথর পুনঃস্থাপন, লুটকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা ও ভবিষ্যতে প্রতিরোধ—এই তিন দিককে সামনে রেখে প্রশাসন কাজ করছে।
তিনি বলেন, “আর যাতে সিলেটের পাথর লুট হতে না পারে বা বাইরে যেতে না পারে, সে জন্য আমরা আরও কঠোর নজরদারি চালাব। লুণ্ঠিত পাথরগুলো খুঁজে বের করে পুনঃস্থাপন করা হচ্ছে। আশা করছি, কয়েক দিনের মধ্যেই সাদাপাথর আগের অবস্থায় ফিরে আসবে।”
তিনি আরও বলেন, “অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে শাস্তির চেয়ে অপরাধ প্রতিরোধই আমাদের মূল লক্ষ্য।”
আজ সকাল ৯টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যোগ দেন সারওয়ার আলম। তিনি সম্প্রতি প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (সংযুক্ত) হিসেবে উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের একান্ত সচিবের দায়িত্ব পালন করছিলেন। সাবেক ডিসি মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ তার কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেছেন।
দায়িত্ব নেওয়ার আগে তিনি হজরত শাহজালাল (রহ.) ও হজরত শাহপরান (রহ.)-এর মাজার জিয়ারত করেন। পরে বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী তাকে স্বাগত জানান।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর থেকে সিলেটের সংরক্ষিত এলাকা, পর্যটনকেন্দ্র ও কোয়ারি থেকে বালু–পাথর লুট শুরু হয়। সম্প্রতি সাদাপাথরে গণলুটের ঘটনা দেশ–বিদেশে তীব্র সমালোচনা সৃষ্টি করে। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই সোমবার সাবেক ডিসি শের মাহবুব মুরাদকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়।