কুমিল্লার কারাগারে বিএনপির ১৩ নেতা, ছাড়া পেলেন আ.লীগপন্থী চেয়ারম্যান!

কুমিল্লার মুরাদনগরের পুলিশের করা মামলায় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ১৩ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। গত ২৫ মার্চ কুমিল্লার মুরাদনগর থানায় হামলা এবং ছাত্র সমন্বয়ক ওবায়দুল হকের উপর হামলার অভিযোগে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়কসহ ৩২ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করে পুলিশ ও উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিবের চাচাত ভাই। এতে আরো অজ্ঞাতনামা ৭০ থেকে ৮০ জনকে আসামি করা হয়। এ ঘটনায় বিএনপির ৬ কর্মীকে গ্রেফতার করে কারাগারে নিলে তারা জামিনে বের হয়। বাকিরা হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিনে আসে এবং আজ ২৭ জুন রবিবার কুমিল্লা দায়রা জজ আদালতে জামিন চাইলে ভারপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ আবেদা খাতুন জামিন না মন্জুর করে উপজেলা বিএনপি ও যুবদলের ১৩ নেতাকর্মীকে কারাগারে প্রেরণ করে।

মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক কামাল উদ্দিন ভুইয়া বলেন, উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ এমপি হওয়ার জন্য বিএনপি নেতা কর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে ডুকাচ্ছে। গত ৩ দিন আগে আওয়ামী লীগ নেতা ও নৌকা মার্কায় পাশ করা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ইকবাল বাহারকে থানা থেকে মুক্ত করে আনে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। অথচ বিএনপি নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করিয়ে কারাগারে পাঠায়। মুরাদনগরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বুক ফুলিয়ে চলে অন্যদিকে বিএনপি নেতা কর্মীরা মিথ্যা মামলায় কারাগারে যায়। আমরা অবিলম্বে তাদের মুক্তির দাবি করছি অন্যাথায় আন্দোলনের শুরু হবে মুরাদনগর থেকে শেষ হবে ঢাকায়। উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ আওয়ামী লীগকে সাথে নিয়ে আওয়ামী লীগের স্টাইলে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিএনপি নেতা কর্মীদের উপর জুলুম নির্যাতন করছে।

এদিকে জামিন না মন্জুরের পর জেল হাজতে নেওয়ার পথে অসুস্থ হয়ে পড়েন নবীপুর পূর্ব ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রুহুল আমিন তুহিন ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক হেলাল উদ্দিন। এসময় অসুস্থ হেলাল উদ্দিনকে পুলিশি প্রহারায় কুমিল্লা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়।

পুলিশ ও উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূইয়ার চাচাতো ভাইয়ের সাজানো মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের জেল হাজতে প্রেরনে মুরাদনগর উপজেলাজুড়ে নিন্দার ঝড় বইছে।

আরো পড়ুন