খালেদার প্রিয় কুমিল্লার ডালিয়া ফিরলেন একাই
ডেস্ক রিপোর্টঃ ছাত্রী, নারী বা নেত্রী- যে নামেই তাকে ডাকা হোক তিনি সাহসী। এটাই নিজেই বলেন। খালেদা তার সাহসের প্রশংসা করেন। ডালিয়া রহমান। খালেদা যতবার আদালতের পথে গুলশানের বাসা থেকে রওয়ানা দেন, ততবার তার গাড়ির সামনে স্কুটি নিয়ে যুক্ত হন বহরের একমাত্র নারী বাইকার ডালিয়া।
গায়ে শার্ট, চোখে চশমা, জিন্সের স্কিনটাইট প্যান্ট। এই আধুনিক পোশাকে স্কুটির ওপর চেপে তিনি ছুটে চলেন খালেদার গাড়ির সামনে।
বরাবরের মতো আদালত থেকে ফেরার পথে খালেদার গাড়ির সামনে থাকার কথা তার। কিন্তু এবার ঘটনা অন্যরকম। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা গেলেন জেলে। ডালিয়া ফিরলেন একা। তার পেছনে নেই সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপাসন খালেদা জিয়া।
আদালতে যাওয়ার পথে তার ‘মোটরসাইকেল প্রটোকল রাইড’ দৃষ্টি কাড়ে সবার। গাড়ি বহরের ঠিক সামনে একাই থাকেন ডালিয়া। লুকিং গ্লাসে পেছনে দেখেন নেত্রীকে।
সামনে থাকার কারণে নিরাপত্তা বাহিনীর নিয়ম-কানুন মোকাবিলা করতে হয় তাকে। আর বহর এমনভাবে চলে যেন ডালিকে অনুসরণ করছে। গুলশান থেকে মগবাজারের পথে পথে খালেদার বহরে যোগ দিতে যেখানে বিএনপি নেতাকর্মীদের বাধার মুখে পড়তে হয়, সেখানে ডালিয়া অনেকটা বাধাহীন।
তবে বহরের সামনে বাইক নিয়ে যেতে পুলিশের সঙ্গে বচসাও হয়। পুলিশকে ডালিয়া বোঝান, আমি শান্তিপূর্ণভাবে বহরের সঙ্গে আছি।
মগবাজার পার হওয়ার পর খালেদার গাড়ি নেতাকর্মী বেষ্টিত হয়ে গেলে কিছুটা সামনে চলে যান ডালিয়া। পরে মোটরসাইকেল থামিয়ে কথা হয় বাংলানিউজের সঙ্গে।
ডালিয়া রহমান জানান, এটা নতুন নয়, যতবার খালেদা জিয়া আদালতের পথে বের হয়েছেন, ততবার তিনি সঙ্গী হন।
কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সময় নির্বাচনী প্রচারণা চলাকালে খালেদার বহরে হামলা হওয়ার পর থেকে পণ করি, যতবার খালেদা বের হবেন তিনিও স্কুটি নিয়ে সঙ্গী হবেন।
সব বারই ঠিক ছিল। বহরের সামনে যেতেন। এরপর ফিরতেনও একইভাবে। ব্যতিক্রম ৮ ফেব্রুয়ারি। ডালিয়াকে ফিরতে হলো খালেদা ছাড়াই। একা।
যাওয়ার পথে তিনি জানান, রায় বিপক্ষে গেলে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
ডালিয়া কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়ক সহ-সম্পাদক। আইনে পড়াশোনা শেষ করেছেন সদ্য। এখন প্রাকটিস করছেন।
উল্লেখ্য কুমিল্লার বরুড়ার মেয়ে ডালিয়া কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রী। সেশন জটের কারণে ঢাকায় চলে যান এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিভাগে অনার্স ও মার্সটার্স করেন তিনি।
সূত্রঃ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর