সত্য কথা বলার কারণে সারজিসের বিরুদ্ধে বিএনপি মামলা: ফয়জুল করিম

বিএনপির তীব্র সমালোচনা করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, বিএনপি সারা দেশে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছে। তারা শত শত কোটি টাকার সাদা পাথর লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। তারা চাঁদাবাজি ও লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করতে কেবল যেনতেন নির্বাচন চাচ্ছে। তারা দেশে আরেক ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা চাপাতে চায়। ‘চাঁদা তুললে পুরস্কার, ধরা পড়লে বহিষ্কার ও ভাইরাল হলে গ্রেপ্তার।’ এই নীতি নিয়ে চলছে।
মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) কিশোরগঞ্জের আজিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে রাষ্ট্র সংস্কার, গণহত্যার বিচার ও পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের দাবিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত এক গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংগঠনের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম এসব কথা বলেন।
সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, সত্য কথা বলার কারণে এনসিপি নেতা সারজিস আলমের বিরুদ্ধে বিএনপি মামলা করেছে। আমি অবাক হয়ে যাই, বিএনপির প্রতি আমার করুণা হয়। যার দ্বারা চক্ষুদান, যাদের দ্বারা আজ মুক্ত পরিবেশ পেয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কেস দিয়েছ। আজকে তারেক জিয়া বাংলাদেশে ফেরার স্বপ্ন দেখতে পারত না, যদি সারজিসরা না থাকত। আজকে তোমাদের নেত্রীকে বিদেশে পাঠিয়ে চিকিৎসা করাতে পারতে না যদি সারজিসরা না থাকত। তারা না থাকলে আজকে খোলা আকাশের নিচে মুক্ত পরিবেশে রাজনীতি করতে পারতে না।
এসময় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, জুলাই অভ্যুত্থান কেবল নির্বাচনের জন্য হয়নি। আমরা সংস্কার, অপরাধীদের বিচার ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাই। পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে সব দল সংসদে যেতে পারবে। কাজেই পিআর পদ্ধতির বিকল্প নেই।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি প্রভাষক হাফেজ মাওলানা আলমগীর হোসেন তালুকদারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) মুফতি দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (ময়মনসিংহ বিভাগ) জি.এম রুহুল আমীন, কিশোরগঞ্জ জেলা দীনি সংগঠন মাওলানা শফিকুল ইসলাম ফারুকী, জাতীয় উলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর মাওলানা আজিজুর রহমান। এছাড়াও জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন থেকে আগত নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
এসময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সহ-সভাপতি কে.এম আনিসুজ্জামান, এবি এমএমদাদুল্লাহ্, মো. রোকন উদ্দীন, সেক্রেটারী মাওলানা নোমান আহাম্মদ, জয়েন্ট সেক্রেটারী মাওলানা মুস্তফা কামাল, এসিস্টেন্ট সেক্রেটারী মুফতি শরীফুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা সিরাজুল ইসলাম,প্রচার ওদাওয়াহ্ বিষয়ক সম্পাদক হাফেজ আ: আওয়াল, দপ্তর সম্পাদক মাওলানা নজরুল ইসলাম,অর্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. আলী আকবর মাস্টার, প্রশিক্ষক বিষয়ক সম্পাদক মো, হাদিউল ইসলাম, ছাত্র ও যুব বিষয়ক সম্পাদক আনিসুজ্জামান, শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা শহিদুল্লাহ্ শহীদ, আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা মাহমুদুর রহমান মাহমুদ, কৃষি ও শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা সাইফুল ইসলাম, মহিলা ও পরিবার কল্যাণ সম্পাদক হাজী মো. নুরুল ইসলাম, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মো. সাদেকুল ইসলাম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক হাফেজ আশরাফ আলী সোহান, সংখ্যালঘু বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা মুতাসিম বিল্লাহ মুত্তাকী, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. আবুল হাসান খোকন, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা, আল আমীন হোসাইন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি ত্বোয়াসিন বিন মুজিব, সহ প্রচার ও দাওয়াহ্ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আবু হানিফ, সহ দপ্তর সম্পাদক মাওলানা হাবিবুল্লাহ্ হুমায়ুন, সহ অর্থ ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা ইমদাদুল্লাহ্ মাহবুব, সহ প্রশিক্ষক সম্পাদক মাওলানা আহসানুল্লাহ্ সদস্য মাওলানা শফিকুল ইসলাম ফারুকী, রফিকুল ইসলাম ভূইয়া, মো. মাজহারুল ইসলাম, মুফতি কফিল উদ্দিন, শেখ বাদল রহমান, মাওলানা আ: সাত্তার, মাওলানা আবরারুল হক প্রমুখসহ জেলার ১৩টি উপজেলার সভাপতি, সেক্রেটারী, সাংগঠনিক সম্পাদক।
এর আগে গণসমাবেশ সফল করতে দুপুর থেকে জেলা ও উপজেলা থেকে ইসলামী আন্দোলনের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিলে মিছিলে গণসমাবেশে মিলিত হয়।
বক্তব্যের এক পর্যায়ে তিনি কিশোরগঞ্জ-১ সংসদীয় আসনের দলীয় প্রার্থী মাওলানা আজিজুর রহমান জার্মানিকে পরিচয় করিয়ে দেন এবং হাত পাখা মার্কায় ভোট দেওয়ার কথা বলেন। পরে মোনাজাতের মাধ্যমে সমাবেশ শেষ হয়।