কুমিল্লায় রাণী ময়নামতি প্রাসাদ প্রাপ্ত প্রত্নবস্তুর প্রদর্শনী
বুড়িচং প্রতিনিধিঃ কুমিল্লার ঐতিহাসিক লালমাই-ময়নামতি পাহাড়ের সর্ব উত্তওে রানী ময়নামতি প্রাসাদ প্রত্নস্থলে প্রত্নতাত্ত্বিক খননে উম্মোচিত স্থাপনা ও প্রত্নবস্তুর অন সাইট প্রদর্শনী করেছে প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তর । গতকাল সোমবার সকালে এই প্রদর্শনী হয়েছে। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর ,আঞ্চলিক পরিচালক অফিস,চ্ট্টগ্রাম বিভাগ , কুমিল্লা এর আয়োজন করে।
জানা যায়,লালমাই-ময়নামতির ইতিহাস ও ঐতিহ্য হাজার বছরের পুরনো। ইতিহাস থেকে জানা যায়,৭ম-১২’শ শতকে এতদঞ্চলে একটি শিক্ষা শহর গড়ে উঠেছিল। প্রত্নতাত্ত্বিক খননে উম্মোচিত বিহারগুলো সেই সত্যতাই প্রমাণ করে। রাণী ময়নামতি প্রাসাদ প্রত্নস্থলটি লালমাই-ময়নামতি এলাকার অন্যান্য পুরাকীর্তিও সাথে বৈসাদৃশ্য পূর্ণ। এই প্রত্নস্থলে ১৯৯৫-৯৬ অর্থ বছর থেকে ২০০০-০১ অর্থ বছর পর্যন্ত খনন করার ফলে একটি ক্রুশাকৃতির মন্দির এবং একটি সীমানা প্রাচীর উম্মোচিত হয়। প্রত্নস্থলের উত্তর-পশ্চিম অংশে ২০১৬-১৭ অর্থ বছওে সীমিত আকাওে খনন শুরু হয়। ২০১৭-১৮ অর্থ বছরেও সেই প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। চলতি অর্থবছরের ১২/১১/২০১৭ খ্রি. মাঠ পর্যায়ের খনন শুরু হয়। যা ১২/০১/২০১৮ ইং পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। এ প্রত্নস্থলে খননের ফলে মন্দিও কমপ্লেক্সেও প্রথম যুগের সীমানা প্রাচীর এবং দ্বিতীয় নির্মান যুগের সীমানা প্রাচীরের ধ্বংস উম্মোচিত হয়েছে। এছাড়াও পরবর্তী যুগের একটি চলাচলের পথ ও সিড়ি উম্মোচিত হয়। এই ঢিবির পশ্চিম-উত্তর কোনে এমন কোন স্থাপনা ছিল সেখানে যাতায়াতের জন্য মানুষ এই সিড়ি ব্যবহার করতো বলে ধারনা করা হয়। এবছর সসর্বমোট ২৬ টি বর্গে খনন করা হয়। গত বছর খননে উম্মোচিত বিশেষ পথটি অত্যন্ত দুর্বলঅবস্থায় উম্মোচিত হয়েছিল। এপথের চিহ্ন টিকিয়ে রাখার জন্য এখানে সংস্কার কাজ কওে বিশেষ পথটি এটি বর্তমান উচ্চতা পর্যন্ত টিকিয়ে রাখা হয়েছে। গোমতী নদীর সাথে এই বিশেষ পথের সংযোগ ছিল বলে ধারনা করা হয়। এবছর ৪ লাখ টাকা ব্যয়ে খনন করা হয়। এবং খননে উম্মোচিত স্থাপনা তাৎক্ষণিকভাবে সংস্কার করা হয়। সর্বোচ্চ ২২ থেকে ১৫ জন দৈনিক শ্রমিক খনন কাজে সম্পৃক্ত ছিল। যার অধিকাংশ ছিল মহিলা শ্রমিক।