বুড়িচংয়ে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে ভবন নির্মান
মারুফ আহমেদঃ কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার সোন্দ্রম ( উল্লাম) গ্রামে জোরপূর্বক ভূমি দখলের পর মামলার ঘটনায় আদালত নিষেধাজ্ঞাজারী করলেও প্রভাবশালীরা সে নির্দেশ অমান্যকওে দখলীকৃত ভূমি ও এর পাশে পাকা ইমারত নির্মান করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় দু’পক্ষের মাঝে উত্তেজনা থাকায় যেকোন সময় বড় ধরনের হামলার আশঙ্কা করছেন ভূক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।
ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার ও মামলার বিবরণ সুত্রে জানা যায়,জেলার বুড়িচং উপজেলার ভারেল্লা দক্ষিণ ইউনিয়নের সোন্দ্রম (উল্লাম) গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের পুত্র হুমায়ুন কবিরের মালিকানাধীন বুড়িচং থানার সোন্দ্রম মৌজার জে এল নং-১৩,বিএস চূড়ান্ত খতিয়ান নং-৪৫৫,দাগ নং ৮২৮ এর ৪ শতক ভূমিতে গত ১৮ মার্চ সকাল ১১ টায় পাশ্ববর্তী মজলিশপুর গ্রামের কাজী ইদ্রিস মিয়ার পুত্র কাজী হাবিবুর রহমান হবি,তার স্ত্রী নুরজাহান বেগম টুনুসহ মাহফুজা,রেহানা, লিটন, আলীম, খোকন, নুরুল ইসলাম, হোসেন, খালেক অজ্ঞাত আরো কিছু ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে তার মালিকানাধীন জমিতে থাকা কাঠাঁল,আম,বেল,কলাসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে ফেলে। এসময় হুমায়ুন কবির ও তার পরিবারের লোকজন বাধাঁ দিলে হবিসহ তার লোকজন চলে যায়। এরপর দিন ওই স্থানে ইট,বালু সিমেন্ট জড়ো কওে হবি’র লোকজন ভবন নির্মান শুরু করে। এতে তাদেও বাড়িতে প্রবেশের প্রায় শত বছরের পুরনো একমাত্র রাস্তাটি অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। এঅবস্থায় হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে উল্লেখিতদেও বিরুদ্ধে কুমিল্লার আমলী আদালতে একটি মামলা দায়ের করে। এতেও প্রতিপক্ষরা ক্ষান্ত না হয়ে উল্টো বাড়ি সংলগ্ন হুমাযুন কবিরের মালিকানাধীন পুকুরের কিছু অংশও ভরাট করে ফেলে। এদিকে আদালত মামলা দায়েরের পর সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে নির্মান কাজ ,মাটি খনন,ভরাটসহ অন্যান্য বিষয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার নির্দেশ দেয়। এতে স্থানীয় দেবপুর ফাঁড়ি পুলিশের এসআই শাহাদাত হোসেন একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে নির্মান সামগ্রী জব্দ কওে নিয়ে আসে। এদিকে আদালতের নিষেধাজ্ঞার পর হবি একই এলাকার মৃত কাজী আবুল ফয়েজের দু’ছেলে কাজী মোঃ শাহ কামাল ,কাজী শাহ জামাল স্বপনসহ কিছু ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে আবারো হুমায়ুন কবিরের প্রতিবেশী কাজী মেজবাউল আলম আহাদ তার পরিবারের লোকজনদেও ভয়ভীতিসহ নানাভাবে হুমকী দিচ্ছে। এঘটনায় মেজবাউল আলম নিরাপত্তা চেয়ে বুড়িচং থানায় একটি সাধারন ডায়রী করেছেন। নং-১৩৪৮ । উ
ল্লেখ্য শাহ কামাল এলাকায় নানা অপরাধসহ অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত থাকায় স্থানীয় গ্রামবাসী তাকে বেশ কিছুদিন আগেই সমাজচ্যূত কওে রেখেছে। অভিযোগকারী মেজবা আরো জানান, শাহ কামাল কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে চাকুরীরত থাকা অবস্থায় ১৯৯৫ সালে দুর্নীতির দায়ে চাকুরীচ্যূত করা হয়েছিল।