কুমিল্লার নিশ্চিন্তপুরে একের পর এক ঘটছে চুরির ঘটনা, নির্বিকার পুলিশ
মারুফ আহমেদঃ কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার সেনানিবাস সংলগ্ন নিশ্চিন্তপুর এলাকায় খোরশেদ আলমের মালিকানাধীন বাড়ির ভাড়াটিয়া পরিমল দেবনাথের ঘরে দূধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। সোমবার দুপুরে বাসায় লোকজন না থাকায়, জানালার গ্রীল কেটে ঘরে ঢুকে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকাসহ মূল্যবান বিভিন্ন মালামাল নিয়ে যায় চোরেরা। সংখ্যালঘু পরিমল দেবনাথ পার্শবর্তী চান্দিনা বাজারের “নিউ মাতৃ জুয়লার্স” এর মালিক।
ভাড়াটিয়া পরিমল দেবনাথ এর স্ত্রী মুক্তা দেবনাথ জানায়, বাচ্চাদের লেখাপড়ার সুবিধার্থে গেল এক বছর যাবৎ তারা ভাড়া থাকেন এই বাড়িতে। প্রতিদিনের ন্যায় সোমবার সকালে ছেলেকে স্কুলে দিয়ে দুপুরে বাসায় ফিরে দেখি জানালার গ্রিল কাটা এবং ঘরের মালামাল এলোমেলো। পরে দেখতে পাই আলমারীর তালা ভেঙ্গে ৫ভরি স্বর্ণালংকার , নগদ ৩০ হাজার টাকাসহ অনেক মূল্যবান মালামাল নিয়ে গেছে চুরেরা।
সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়, কুমিল্লা সেনানিবাসের ওয়াল ঘেষা এই পাবলিক আবাসিক এলাকাটিতে গেল কয়েক দিনে ঘটেছে কয়েকটি চুরির ঘটনা। একের পর এক দূধর্ষ চুরি সংগঠিত হলেও অধরাই রয়ে যাচ্ছে চুরেরা।
গতবছরের জুলাই মাসে রাতের আধারে চুরি হয় জনৈক আনোয়ার হোসেনের মালিকানাধীন দ্বিতীয় তলার ভাড়াটিয়ার বাসায়। সেখান থেকে ১০ভড়ি স্বর্ণালংকার, মোবাইলসেটসহ অন্তত দশ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে যায় চুরেরা। তারই কয়েকদিন পর চুরি হয় পাশ্ববর্তী সিঙ্গাপুর নামক বিল্ডিংয়ে। সেখান থেকেও অন্তত ৫লাখ টাকার মালামাল নিয়ে চায় চুরেরা। গত মার্চ মাসে চুরি হয় একই মালিক খোরশেদ আলমের ৫তলা বাড়ির দ্বিতীয় তলায়। এ ঘটনার কিছুদির পর চুরি হয় একই বাড়ির নিচতলা। গেল কয়েকদির আগে চুরি হয় একই বিল্ডিংয়ের ৫তলায়। এসব চুরির ঘটনায় কোটি টাকার মালামাল ও মূল্যবান জিনিপত্র নিয়ে যায় চুরেরা। দিনে দুপুরে কিংরা রাতের আধারে দরজার তালা ভেঙ্গে কিংবা জানালার গ্রিল কেটে একের পর এক ঘটছে চুরির ঘটনা। এছাড়াও প্রায় দিনই ঘটছে মোবাইল চুরির ঘটনা। প্রতিটি ঘটনার পরেই কোতয়ালী থানাধীন ক্যান্টনমেন্ট ফাঁড়ির পুলিশ এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গেলেও অধরাই রয়ে গেছে চোরেরচক্র। এলাকাবাসীর অভিযোগ অদৃশ্য কারনে এসবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না পুলিশ প্রশাসন।
নিশ্চিন্তপুরের এই এলাকাটিতে প্রায় ১১শ পরিবারের বসবাস। সেনানিবাস সংলগ্ন এলাকা হওয়ায় নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে কেউ জীবিকার তাগিদে কিংবা সন্তানের লেখাপড়ার জন্য বাধ্য হয়ে এখানে বসবাস করছে কুমিল্লা ছাড়াও বিভিন্ন জেলার মানুষ। এসব পরিবারগুলো বলছে, গেল কয়েকদিনের একের পর এক চুরির ঘটনায় আতংকিত তারা। নিরাপদে বসবাসের জন্য জেলার পুলিশ সুপার কিংবা প্রশাসনের কার্যকর সহযোগিতা চেয়েছেন এলাকাবাসী।