পরকীয়ার জেরে কুমিল্লায় যুবককে পাঁচ টুকরো করে খালে ফেলল দম্পতি

স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক থাকার সন্দেহে নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার পর মরদেহ পাঁচ টুকরো করেন হোসেন মিয়া। এতে সহায়তা করেন তার স্ত্রী স্মৃতি আক্তার। পরে মরদেহের টুকরো তিন ব্যাগে ভরে খালে ফেলে দেয়।
এ ঘটনায় রোববার হোসেন ও স্মৃতিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর তাদের দেওয়া তথ্যে কুমিল্লার তিতাস উপজেলার মজিদপুর গ্রামের খাল থেকে একটি বস্তায় কাটা দুই হাত উদ্ধার করে পুলিশ। বাকি দুটি পা ও শরীর উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
নিহত নজরুল ইসলাম তিতাস উপজেলার সাহাবৃদ্ধি গ্রামের হানিফ ভূঁইয়ার ছেলে। ৬ আগস্ট রাতে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর তার খোঁজ মিলছিল না। হোসেনের বাড়ি মজিদপুর গ্রামে। তিনি ও তার স্ত্রী হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, নজরুলের সঙ্গে স্মৃতির সম্পর্ক ছিল। ৬ আগস্ট রাতে দোকানে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন নজরুল। না ফেরায় ৮ আগস্ট তার বাবা তিতাস থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। আজ ভোরে হোসেন ও তার স্ত্রীকে আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে নজরুলকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা ও পাঁচ টুকরো করে তিনটি বস্তায় ভরে খালে ফেলে দেওয়ার কথা স্বীকার করেন তারা। পরে ডুবুরির মাধ্যমে একটি ব্যাগে দুটি হাতের অংশ উদ্ধার করা হয়।
তিতাস থানার ওসি মো. শহিদ উল্যাহ্ বলেন, মরদেহের বাকি অংশ উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।